যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
কলিগ কথায় কথায় বলেন আল্লাহর মত খারাপ আর কেউ হইতে পারে না। উনি এইটা করলে কি অসুবিধা হইতো? আবার কখনও বলতো, কেন উনি আমাকে এইটা দিলেন না? কখনও বলে, আল্লাহরে পাইলে আমি যে কি করতাম? আমার জীবনটা এমন বানাইলো কেন? আমি কি অপরাধ করেছি!
আমি তারে বলি, আল্লাহরে দোষ দিয়া কি লাভ? যখন আপনি বিশ্বাসই করেন, তখন তো ভরসা করা উচিত!
সে বলে, কেমনে বিশ্বাস করি? সারাজীবন দেখছি সে কেবল আমারেই বিপদে ফেলে! কেন, পৃথিবীতে আর কোন মানুষ নাই!
আমি তাকে ধর্মীয় গুরুদের মত একদিন হাসপাতালে নিয়ে যাই। বার্ন ইউনিটে। কয়েক ঘন্টা বা কয়েকদিনের মধ্যে নিশ্চিত মারা যাবে এমন কয়েকজন আগুনে পোড়া মানুষ তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছিলো। মিডিয়া প্রতিদিন একজনের মৃত্যু সংবাদ দেয়।
আগের দিন যে দিব্যি কথা বলেছে ক্যামেরার সামনে।
তাদের দেখিয়ে বলি, এরা তো আপনার চেয়ে অনেক বেশী বিপদে আছে, আল্লাহ কি এদের চেয়েও আপনাকে বেশী বিপদে ফেলেছে?
কলিগের বিপদ এর তুলনায় কিছুই না। তার চেয়ে হাজারগুণ বিপদগ্রস্থ মানুষ দেখে কলিগের ইমান তাজা হয়ে যায়। আল্লাহকে গালি দেয়া বন্ধ করে। অনস্তিত্বময় একজনকে গালি দেয়ার চেয়ে তার অস্তিত্বময় অথচ নিবীর্য বিগ্রহে আস্থা রাখা মানসিক অশান্তী লাঘবের দারুণ কৌশল বিশ্বাসীদের কাছে।
কলিগ ভাল গিলেছে।
ফারাহানা ও সকল দুর্বল বিশ্বাসীদের জন্য একজন নাস্তিকের টিপস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।