নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
খেলাধুলার জগতে আমি একেবারেই কম জানা লোক। নিছক দর্শক মাত্র। তবু বাংলাদেশ নামক একটি দল যখন কোন International Tournament এ অংশগ্রহন করে তখন নিজের মান সম্মান নিয়ে কিঞ্চিৎ হলেও টানাটানি শুরু হয়। আর বছর দুয়েক ধরে Direct Income Tax দিচ্ছি। আমার গাঁটের টাকার কি ব্যবহার সরকার কৈরতাছে তা নিয়েও মাথাব্যাথা হয়।
হুশজ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছি- বাংলাদেশ প্রায় সব খেলাতেই নাম লেখায়। ভারোত্তলন, কুস্তি, দৌড়, জিমন্যস্টিকস, জুডো থেকে বহুল ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবল সব কিছুতেই। হিটে বাদ, ভেন্যু থেকে পলায়ন, লা খবর, হার, গো-হার এবং ৮৬ বছর পরপর হ্যালির ধুমকেতুর মত ক্রিকেটে একটা ম্যাচ জয়। পরদিন লাল কালিতে ব্যানার হেডিং টাইগারদের হুংকারে বধ হল সিংহবাহিনী! আরো কয়েকদিন চলে সভা- সমিতি, সংবর্ধনা, হেন করেংগা, তেন করেংগা। আবার শুরু গো-হারা।
তারপর একই পত্রিকার নিন্দাকীয়!
কথা পরিস্কার। শারীরিক শক্তি দরকার হয় এমন যেকোন খেলার আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ০০। শুন্য মানে শুন্য। জেনেটিক্যালি ক্ষীনদেহ, পুস্টিহীনতা, পেটভর্তি কৃমি, লো স্টামিনা নিয়ে এসব খেলায় কখনোই ভাল কিছু করা সম্ভবনা। ১০০০ বছর প্র্যাকটিস করলেও ভারোত্তলন, কুস্তি, দৌড়, জিমন্যস্টিকস, জুডো, ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবল, সাতাঁর ইত্যাদি ০ ফলই আসবে।
যতটাকাই বরাদ্ধ দেয়া হোক। আর যত উচ্চবেতনের কোচই আনা হোক। সুতরাং এসব ফালতু খাতে আর একটি সরকারী পয়সাও বরাদ্ধ করা হবে নাগরিকের টাকার খেয়ানত বা লুটপাট মাত্র। এমনি এমনি খোলা মাঠে, ঘরোয়া টিম করে নিছক বিনোদন ও স্বাস্থ্যসচেতনতা হিসেবে তা চালু থাকতে পারে।
খুব চেস্টা করলে লুডু, ক্যারম, তাস, দাবা, কানামাছি, কুতকুত ধরনের খেলায় আমাদের সম্ভাবনা আছে।
সেখানে সাধনা চলতে পারে।
আশা করি ব্যাপারটা ডিজিটাল কতৃপক্ষের নজরে পড়বে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।