যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
সামহোয়ারে যে এ্যডটা দেয়া হয়েছে সেইখানে বলা হইতেছে দেশের মাধ্যমিক স্তরের ১০০০ স্কুলে ইংরেজী শেখার কর্মসূচীর কথা। দেইখা আমার নিজের পেপার পড়ার অভ্যাসের কথা মনে পড়লো। আমগো বাসায় তখন রাখতো ইত্তেফাক আর অবজারভার। মানে যখন মাধ্যমিক স্কুলে পড়তাম। ক্লাস সিক্স, সেভেন।
ইত্তেফাকের টারজান পাতা আর সিনেমার বিজ্ঞাপন তখন হাই ভোল্টেজ আইটেম। বিশেষ কইরা সুচরিতা - আহা কি কিউটি ছিল। তবে সাপ্তাহিক বিচিত্রার বিদেশী পাতার আইটেমগুলাও ছিল মাশাল্লা, তবে সেইটা উইকলি কারবার। ইত্তেফাকের সচিত্র সিনেমা-সংবাদে তখন জসিম, আলমগী, সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চনের খোমা থাকতো। আর নায়িকাদের মধ্যে ববিতা, শাবানা, সুচরিতা, রোজিনা, দোয়েল, অলিভিয়া, অঞ্জু ঘোস - সে এক ঘোরতর মোটকা-মুটকির কাল।
নায়কদের সেই নায়িকাদের আবার কোলে নিয়া নাচন-কুর্তন করতে হইতো।
তবে অবজার্ভার দেখলেই গা দিয়া জ্বর নামতো। ইংরেজীতে উড়োজাহাজ থাকায় সেইটা পড়া ছিল ফরজ। প্রতিদিন একটা কলাম পইড়া বাপজানরে শুনাইতে হইতো। তবে তা ছিল নেহায়েতই কুইনাইন; কতদিন অবজার্ভার দলা পাকাইয়া জানালা দিয়া উড়াইয়া দিছি আল্লাহ মালুম।
তবে যেটুকু ইংরেজী শিখছি, এখন বুকে হাত দিয়া কইতে পারি, ঐ অবজার্ভার পঠনের ফলেই হইছিলো। আমার ইংরেজীর টিচার হাকিম স্যার কইতো ইংরেজী শব্দগুলা দেখছিস, কেমন ব্যবহার করছে! এইটাকে বলে বৃটিশ ঢং। কিন্তু ঢঙ বুইঝা তো আর কাম নাই, আমি শব্দ মুখস্থ করি - মানে ভোকাবুলারি যারে বলে।
তবে ঐ সময় স্কুলে আমাদের পত্রিকা পড়ার চল ছিল না। পত্রিকা পড়মু কেমনে? কোন কমনরুমই ছিল না।
ভার্সিটিতে যেমন বিভাগগুলার একটা সেমিনার রুম থাকে স্কুলে তাতো ছিলই না, কোন কমনরুম বা ক্যান্টিনও ছিল না। আমাদের যাবতীয় বিনোদন ছিল মাঠে। তবে এখন অবস্থা পাল্টাইছে। স্কুলে স্কুলে ইন্টারনেট লাগছে, পত্রিকা-পঠন অভ্যাস চালু হইতেছে। বিশেষত ইংরেজী শিক্ষার জন্য ইংরেজী পত্রিকার সরবরাহ হইতেছে।
ডেইলী স্টার নাকি এক হাজার স্কুলে সপ্তাহে পাঁচদিন ইংরেজী পত্রিকা দিবো তিনটা কইরা তিনবছর। পোলাপান সেইগুলান পড়ার জন্য অবসর পাইবে কিনা বলতে পারি না, তবে প্রাকটিস করানো গেলে ভালই হইতো। সিলেবাসের ইংরেজী পড়ার সাথে সাথে পত্রিকায় ব্যবহৃত ইংরেজী পড়ার অভ্যাস হইলে পুলাপানদের লাভ হইবো বইলাই মনে হইতেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।