আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কানাডার অন্টারিও পার্লামেন্টে একুশে উদযাপন বিল উত্থাপন

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

গত ২৮ মে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের পার্লামেন্টে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করা হয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিলটি পাস হলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র বলে বিবেচিত এই প্রদেশটির দেড় শতাধিক ভাষা চর্চা ও তার সংরক্ষণ প্রক্রিয়া জোরদার হবে। স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে তিনটার কিছু আগে ১২ মিনিটের এই বিলটি উত্থাপন করেন প্রদেশের ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের ইরানি বংশোদ্ভূত রিচ্মন্ড হিলের প্রাদেশিক সাংসদ ড. রেজা মোরেদী।

বিল উত্থাপনকালে তিনি বলেন, আমার হৃদয়ের কাছাকাছি স্থান করে নেয়া মাতৃভাষার স্বীকৃতির জন্য আজ আমি দাঁড়িয়েছি। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট এবং কানাডার ভ্যানকুয়েভারের সংগঠন ‘মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ ও বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন। এছাড়া অন্টারিও প্রদেশের দুই শতাধিক জাতিগোষ্ঠীর দেড় শতাধিক ভাষার অস্তিত্বের পাশাপাশি সংসদের গ্যালারিতে উপবিষ্ট বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, আরব, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কম্বোডিয়া, চীন, ইথিওপিয়া, গ্রিস, ইটালি, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও তুরস্কের কমিউনিটির উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন। মোরেদী আরও বলেন, পৃথিবীর প্রধান বিশটি ভাষার সবকটি ভাষাই এই প্রদেশের মানুষের মাঝে বিদ্যমান। এমনকী টরন্টোর স্কুলগুলোতে ৫৮ ভাগ শিক্ষার্থীর নিজস্ব মাতৃভাষা স্ট্যান্ডার্ড ইংরেজি নয়।

সে কারণে মাতৃভাষার চর্চা তাদের ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগত উন্নয়নের জন্য একান্ত অপরিহার্য। ভারপ্রাপ্ত স্পিকার মাদাম লিয়ানা প্যান্ডারগাস্ট পরিচালিত প্রাদেশিক সংসদের ওই অধিবেশনে আপাতদৃষ্টিতে অর্থ প্রদান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ক পরামর্শ ছাড়া এই বিল পাসের ক্ষেত্রে তীব্র বিরোধিতা কোনো সাংসদই করেননি। তবে দুটি বিরোধী দল কনজারভেটিব ও নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং সরকারি লিবারেল দল থেকে ছয়জন সাংসদ বিলটির ওপর বিতর্কে অংশ নেন। উল্লেখ্য, কানাডার অন্টারিও পার্লামেন্টে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর প্রথম প্রিমিয়ারের আদিষ্ট হয়ে ২০০৬ সালে সাংসদ ড. খলিল রামাল এবং পরে নিজস্ব উদ্যোগে ২০০৭ সালে ড. রেজা মোরেদী পৃথক দুটি বিবৃতি প্রদান করেন। এক্ষেত্রে যথাক্রমে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী বোখারী (এই প্রতিনিধি) এবং সাহিত্যিক আকতার হোসেন বিশেষ উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন।

মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে: সংবাদসূত্র: আমাদের সময় ; ৩০ মে; ২০০৯ সম্পাদনা: জুলফিকার রাসেল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।