আমি সবার সাথে আছি .............
এ টি এম নিজাম : কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের অতি প্রিয় নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের নাম অন্যতম। বাংলাদেশের এই বিস্তীর্ণ জনপদের লোকজন এক সময় ব্রহ্মপুত্রে মিষ্টি মধুর কলতানে ঘুমিয়ে পড়ত। গুরু-গম্ভীর গর্জনে জেগেও উঠত। এ নদীর তীরে তীরে গড়ে উঠে নগর-বন্দর ও শিল্প সভ্যতা। এ নদের বুকে প্রতিদিন সওদাগরদের নৌকার পাশাপাশি ভাসত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা রায় নিয়োজিত হাজার-হাজার নৌকা, কার্গো।
কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই তেজোদ্দীপ্ত স্রোতধারা ব্রহ্মপুত্রের সেইদিন এখন আর নেই। বৈরী প্রকৃতি ও মানুষের বৈরী আচরণে এখন তার অবস্থা মুমূর্ষু। ইতিহাস সাীদেয় কিশোরগঞ্জের এগারসিন্দুরের কাছে এ নদের প্রশস্ততা ছিল ১৯ কিলোমিটার। প্রকৃতির রুদ্ররোষ আর মানুষের বৈরী আচরণে এ এলাকায় বর্তমানে এ নদ মৃত প্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে এবং প্রশস্ততা ও জলধারা কমতে কমতে মাত্র কয়েকশ’ গজে নেমে এসেছে। এ কারণে এ অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদের অসংখ্য শাখা নদ-নদীও বিলীন হয়ে যাচ্ছে কালের গর্ভে।
পরিবেশবিদদের মতে, এ অবস্থা অব্যহত থাকলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ এক সময় ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। চীন, ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র এক আন্তর্জাতিক নদ। তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী ‘চেমাইয়ংর্ডু’ হিমবাহ থেকে-এর উৎপত্তি। তিব্বত মালভূমির উপর দিয়ে পূর্বদিকে মানপো (ঞংধহমঢ়ড়) নামে প্রায় এক হাজার মাইল প্রবাহিত হবার পর দেিণ ঘুরে ৪৪২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সাদিয়ার নিকট আসামে প্রবেশ করেছে। আসামে ‘ডিহাং’ এবং পরে ব্রহ্মপুত্র নামে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪৫০ মাইল (প্রায় ৭২৪ কি. মি.) প্রবাহিত হবার পর গারো পাহাড়ের নিকট দেিন ঘুরে বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ব্রহ্মপুত্র কিছুদূর অগ্রসর হলে দণি অভিমুখী তিস্তা নদী-এর সঙ্গে মিলিত হয়। আরও দেিণ গিয়ে ব্রহ্মপুত্র বিভক্ত হয়ে এক শাখা যমুনা এবং অপর শাখা ব্রহ্মপুত্র নামে............................
সম্পাদক
http://www.narsunda.cjb.net
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।