আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

র‌্যাব আর কতজন খুন করলে একে স্থগিত করা হবে?



মানুষ কতলে র‌্যাবের গৌরবোজ্জল ভুমিকা না বদলালে এটাকে স্থগিত করে রাখাই ভালো, কিংবা এটাকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। আর কতজন খুন হলে টনক নড়বে দেশের প্রশাসনের? সহস্রতম খুনটি করেও এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে এইসব রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত খুনীরা। কয়েক দিন আগে পড়লাম র‌্যাব আর ডিজিআইএফকে নিস্ক্রিয় করতে বলেছে হিউর‌্যান রাইটস ওয়াচ গ্রুপ। তাদের অভিযোগ অনেকাংশেই সত্য, ডিজিআইএফ এবং র‌্যাব নিজেদের পেশাগত দায়িত্বের পরিধির বাইরে গিয়ে বেশীর ভাগ সময়ই রাজনৈতিক নিষ্পেষণ ও হয়রানির হাতিয়ার হয়েছে। হয়ে উঠেছে দমনের প্রতিশব্দ।

র‌্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে যখন ঘুষ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উত্থাপিত হলো ঠিক তখনই সম্ভবত বিশেষ ঘোষণায় বলা হয়েছিলো জমিজমা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগের তদন্ত করবে না র‌্যাব। র‌্যাবের বিরুদ্ধে প্রধানতম অভিযোগ অবশ্য আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ নয় বরং আইনি হেফাজতে মৃত্যুর ঘনঘটা। তাদের উদ্ভাবিত ক্রস ফায়ার নাটকটির শেষ দৃশ্যে অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষও অভিনয় করেছে। অভিযুক্ত যারা কথিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বন্দী অবস্থায় পালাতে গিয়ে দু পক্ষের গোলাগুলির মাঝখানে পরে নিহত হয় কিংবা যেমনটা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বৃদ্ধা , কোথাও খুন করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখবার সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শুনে তার ঘুম ভাঙে। সেখানে যখন এভিডেন্স প্লান্টেশনের কাজ চলছিলো তখনই ঝড় বৃষ্টির মাঝখানে বৃদ্ধা জেগে উঠে দেখেছেন এই অনাচার।

অভিযুক্ত র‌্যাব সদস্যদের কাউকেই আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় নি। সোহেল তাজ র‌্যাবের ভুমিকার প্রশংসা করেছেন কয়েক দিন আগে সাক্ষাৎকারে। তবে গতকাল শরীয়তপুরে র‌্যাবের ৬ সদস্য সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। Click This Link ঘটনাটি ঘটেছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, ২০শে মার্চ। প্রকাশিত সংবাদে যে হত্যা দৃশ্যের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেটা ঘটানোর পৈশাচিকতা বিবেচনা করলে বলতে হবে র‌্যাবের সেইসব কথিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মূলত প্রশিক্ষত এবং নৃশংস খুনী।

যদিও থানা প্রায় ১ বছর পরে মামলা আমলে আনলো কিন্তু পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এখনও মামলার কাগজ হাতে পান নি, পেলেই তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিচারের দাবি করেছেন চালশে রিলিচের স্ত্রী, যাকে পৌশাচিক ভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় কিংবা খুন হওয়ার জন্য খোলা ময়দানে ফেলে রাখা হয়। এইসব অপমৃত্যুর ঘটনা নয়, এইসব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এবং এইসব পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনিরি সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তিই শুধু নয় বরং এক্ষেত্রে নির্যাতিত পরিবারদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। অনেক আগে হাইকোর্ট কোনো এক ধর্ষিতা মায়ের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষককে আজীবন খোরপোষ ও সন্তানের লালন পালনের খরচ প্রয়োজনে তার স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি হলেও দিতে বলেছিলেন। এই সব পরিকল্পিত হত্যার বিচার করবার সময় শুধু সর্বোচ্চ শাস্তি নয় বরং অভিযুক্ত আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অর্জিত সকল সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদান করবার দাবি জানাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.