কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়
এ খবরটি কি আপনারা দেখেছেন?
Click This Link
বিডি নিউজ২৪ কম-এ এ খবরটি দেখে আমার মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আপনারা কি ভাবছেন আশা করি জানাবেন।
সরকার বিডিআরের যে ২৫ জনকে 'পলাতক' ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিপাহী মো. আব্দুস সামাদ কারাগারে রয়েছেন বলে দাবি করছে তার পরিবার।
সামাদের ভাই মো. আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমার ভাইকে ২৭ ফেব্র"য়ারি পিলখানায় তার রুম থেকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে তার সঙ্গে কয়েকবার দেখা করেছি।
কিন্তু সরকার এখন বলছে সামাদ পলাতক। "
এ প্রসঙ্গে রোববার বিকেলে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানানো হয়, "তিনি মিটিংয়ে আছেন। "
সরকার গত ১৯ মে ২৫ জন বিডিআর সদস্যকে 'পলাতক' ঘোষণা করে তাদেরকে গ্রেপ্তারে সবার সহযোগিতা চায়। 'পলাতকদের' তালিকা দেশের বিভিন্ন থানা, বিমানবন্দর ও সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতেও পাঠানো হয়। ছবিসহ প্রকাশিত ওই তালিকায় আব্দুস সামাদের নাম ছিল ১৯ নম্বরে।
কারাগারে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার প্রমাণ হিসেবে তিনটি অনুমতিপত্র দেখিয়ে আজিজুল হক বলেন, "আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করার পর গত ৩ মার্চ তার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত করি। এরপর তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। ওই কারাগারে গিয়ে গত ১১ মার্চ, ৩ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ১১ মে চার দফায় আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত করি। "
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আজিজুল হকের সরবরাহ করা তিনটি অনুমতিপত্রের ফটোকপিতে দেখা গেছে, ২৬ এপ্রিল ১৮৩১ নম্বর এবং ১১ মে ৪৭৭৩ নম্বর স্লিপে কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে তিনি তার ভাই আব্দুস সামাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
আজিজুল হক জানান, রোববার কেন্দ্রীয় কারাগারে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুমতিপত্র নিলেও দেখা করতে পারেননি তিনি।
আজিজুল বলেন, সর্বশেষ গত ২৩ মে তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। "
গত পরশুর বিভিন্ন দৈনিকে একই ধরণের আরেকটি খবর ছিল, আটক বিডিআর সদস্যের পরিবারের পক্ষ থেকে হাজতে আটক থাকা অবস্থায় তারা উক্ত বিডিআর সদস্যের সাথে দেখা করছেন অথচ প্রকাশিত তালিকায় একই ভাবে তাতে পলাতক দেখানো হয়েছে। এমন একটি স্পর্শ কাতর বিষয়ে মাত্র ২৫ জনের তালিকায় ভুল থাকে কি করে? এসব কিসের আলামত? গোজামিল কি ধরা পড়ে যাচ্ছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।