(আচ্ছা ! চেনা লীনা'কে) মুকুল মলী
অর্থ শাস্ত্রে কি বলে এটাকে,
আমার ধারনা নিয়ে জাবর কাটো- করোটিতে খিঁচ
নেত্রকোণের গোপনে আটফিল্ম মেকিং কর,
কি বলে এমন করাকে ? আবার অজান্তে লীনাঙ্গনী হয়েছ আমির মাঝে---
জানি ; অতো মানে খোঁজা মন্দিরাতে তাল তোলার সময় এই পৃথিবীর নেই,
আমরা বড়ই অসহায় ! বড়ই আহম্মক ! ভুল ঈক্ষণে একেঁ চলা পথে হাঁটি -------
আমরা মানুষ লীনা ! লীন হবার পূর্ব পর্যন্ত ! আমরা মানুষ।
ভেবে দেখো দাঁড়ি কেটে ইচ্ছের স্রোতে জোয়ার তুলতে চাইলেও
একটু ফুসরত রাখেনি শ্রমিক সময় - তোমার আমার জন্য !
জালিয়াতি মন প্রলোভনে টানে-
মনেরমতো সব তারকিক হয়ে তর্ক করে প্রথার ছুরীতে মরে।
সব উজ্ঝ রেখে দাও- ঐগুলি সব উজবুক জীবন'র ভেবে !
গতিতে আমরা নিরপে হতে শিখিনি লীনা
যদিও- জনান্তিকের মন্ডলে উলুধ্বনি বয়ে যায় ; রয়ে যায় রক্তের দমিত নাচন।
ঝিনাইদহের জলের পদ্ম চেয়ে রয়-তার হাসির অবিকলে
গভিরতার রঙ মিশ-মিশে কালো হয়ে আছে তার কৃষ্ণপর্দার মতো,
যার ওপারে গেথে রেখেছে সে- শিখ কাবাবের ন্যায় খোয়াব -চুলার উপর ঝলসে চলেছে।
অপরিপক্ব প্রেম তার এমন বৈশাখী সাত'র সাতসকালে
হুটকরে পেকে উঠবে তা কালেভদ্রেও ভাবা হয়নি।
আখাতে চড়ানো চাল ফুটে হয়েছে কতবার ভাত- তবুও ভাবনি এমন করবে,
মগ্ন হতে পারিনা !
এই ঘটে যাওয়া তোমার অন্তর্বর্তীকালিন ঘটনার যাপিত জীবনের কাছে ;
কেউ কবিকেও এভাবে-------- !
তুমি যেনে আহ্লাদ হলে আমি পাহাড় দেখিনি , সাগর দেখিনি, সঙ্গম করিনি
যদিও করতলের টলমলে জলের মতো যৌবন অনেকবার পিছলে যেতে চেয়েছে কলার ছলনায়।
ছল ছল জলের ছায়া কি ভারি দার্শনিক ! তুমি আমি ছাড়া জানেনা'কি কেউ !
তুমি নেমন্তন্ন করলে দুজনে একলা পাহাড়ের সেই একলা গাছের কাছে যেতে;
তুমি আমন্ত্রিত করলে লোনাবালি তীরে আমাদের খালি চরণ রাখতে যেতে;
তুমি মিন্ত্রণ করলে নিয়ন্ত্রিতহীন কায়দায় সঙ্গমের কাছে যেতে
আমি উৎসুক জনতার মতো জনহীন রাষ্ট্রে হারাতে চাইলাম কেন বলোতো ?
রাষ্ট্রহীন হওয়ার লোভ এখন আমার মাঝে বড্ড বেশি বাসা বাঁধছে লীনা ...।
[ নয় বৈশাখ / বাইশ এপ্রিল / দুই-হাজার নয় ঃ নয়াপল্টন অফিস। শেষ : সাতটা তেইশ মি: ] [এডিট ঃ তেইশ-চার-নয় খ্রি:]
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।