আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকথা : বৃত্তবন্দী থেকে গিট্টু বন্দী

একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।

মাথার মধ্যে গিট্টু পাকায় বইসা আছে। গোলের সাথে আমার প্রেম আজকের না, বরং বলা যায় জন্ম থেকে- আর্কিটেক্ট হিসেবে জন্ম থেকে। মোটামুটি ভাবে আমার ৯টা প্রজেক্টের মধ্যে ৫টায় কার্ভ জিনিসটা আসছে কোন না কোন ভাবে। কম্প্যাক্ট স্পেস বৃত্ত থেকে শুরু করে শেষে পাই করেছিলাম।

এরপরের রেসিডেন্স, হোটেল এবং প্রেসিডেন্স স্টাডির রেসিডেন্স (জ্বি, রিয়াদ স্যারদের ওভার-এস্টিমেশনের ফলে আমাদের ২-২ তেই হোটেল করতে হয়েছিল, পুরা ক্লাস চি পাওয়ার পরে তারা আবার রেসিডেন্স করিয়েছিলেন ) এর পরে মিউজিয়ামে আমাকে বর্গ দেয়া হলো। মারা গেছিলাম চারকোণার মাঝে বসে, কিন্তু ছাদে দিয়াছিলাম ডোম, হইলো ২। পরের স্কুলে গোল গোল ক্লসরুমের ধান্ধা করসিলাম, দীপ্তি ম্যাডাম খাইলো না, পরে ছয়কোণা করসিলাম। কিন্তু কালচারাল সেন্টার দিতেই আমি আবার গোল। অডিটরিয়াম টা কোন ভাবেই গোলের মাঝে ঢুকতে চাইলো না, সাইটটাও বেকায়দা ঝামেলা করায় শেষে সেকশনে গোল- মানে ছাদটা, উঁহু ডোম না, এবার ভল্ট ।

পরের হাইরাইজতো পুরা সার্কেল আবার। এখনও মনে আছে, নীরুদা দেখে ভয় পাইসিলো সার্কুলেশন কেমনে সামলাবো, কিন্তু আমার বৃত্তের সাথে ভালোবাসা তো আর জানে না। আমার সল্যুশনে দেখে তাই মজাই পেয়েছিলো। ফোর্থ ইয়ারে কি সব আবজাব প্রজেক্ট আরবানের, ওগুলো বাদে দিয়ে এই হাইরাইজ (এইটা বাটকু, ১২ তলা। ৪৫ তলার পরে ১২ তলা করতে গিয়ে এবং তাকে হাইরাইজ বলতে গিয়ে হেসেই গড়া গড়ি খাইসি )।

যথারীতি দেড়টা ফ্যাসাদ কার্ভড- খরুর সাথে রীতি মত ঝামেলা করে । এখন হাতে ট্রমা সেন্টারের ছদ্মবেশে এক হাসপাতাল। যা চিন্তা ছিলো গুছাতে গিয়ে দেখি এ ব্যাটাও কেমনে কেমনে জানি গোল হয়ে গেছে। আরেক বৃত্তবন্দী শারিকাকে বলতেই চিৎকার দিলো তুই পাগল হয়ে গেছিস?? কিন্তু কি করা, গোল ছাড়া কিছু করতে যে কষ্ট হয় রীতিমত আমার সে আমি কেমনে বুঝাই? আর, চারকোণায় যে আমি হারায় যাই, কোনভাবেই মেলাতে পারি না । খানিকটা ইনডিসিশন এখনও আছে, চেষ্টা করে যাচ্ছি অন্য কোন শেপ আনার, কিন্তু মনে হচ্ছে না লাভ হবে।

মহা গিট্টুর মধ্যে আছি। এই যদি শেষ হতো, তাহলেও তো হইতো। কিন্তু আমার জীবনে এত সুখ কি হতে পারে? পারে না। মিডটর্মে নিমু না, নিমু না কইরা নিয়াই ফালাইলাম রিস্কটা- গল্প লিখার। জানি এই জিনিসটা আমারে দিয়া হয় না, হইবোও না।

কিন্তু না, সুখে কি আর আমার থাকতে ভালো লাগে? ভুতের কিল খাইতে হবে না? সুতরাং লিখা শুরু করলাম। এখন গেসি ফেঁসে। এরপরে কি হবে কিছুতেই মাথা থেকে বেরোচ্ছে না, গিট্টু পাকায় বসে আছে। গিট্টুতে গিট্টুতে গিট্টান্নিত হয়ে এখন আমি বসে আছি। ধ্যাত্তেরিকা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।