আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

.সীমানা মুছে দেওয়ার আহবানের পোষ্ট ষ্টিকি দেখে বিস্ময়াভিভূত!!!!!! হ্যালো সাম হোয়ার ইন???? আর ইউ ওকে??



ষ্টিকি পোষ্ট !!! সামু কি জাতির সাথে প্রতারণা করছে না বুঝতে পারেনি?? কিংবা অতি আতেলীয় পনার কাছে হেরে গেছে?? এবং অজান্তেই অন্য কারো পারপাস সার্ভ করছে??? লেখকের শুরুটাই মিলে যায় সীমানা বিহীনতা বা সীমান্ত বিলোপের উদ্ভট যে দাবীর কথা আমরা শুনে আসছি তার সাথে!!!! ""কোনও রাষ্ট্র নিয়ে বেশি ধনাই-পানাই, নিজের দেশ বলে আত্মহারা হওয়া আমার কাছে, দেশদ্রোহিতা নয়, মানবদ্রোহিতা লাগে~আমার, আমার করা যেমন বিস্বাদ জিনিস তেমন আরকি~""" আর মন্ত্যব্যে তার সতীর্থদের কি বলছে দেখূন.. লেখক বলেছেন: জাতহীন, সীমানাহীন সমাজের প্রতিনিধিকে লাল সেলাম!!! এরপর সর্বজনবিদীত মহান ভাষা আন্দোলনের অস্তিত্ব নিয়ে টানাহেচড়া!!! নয়তো কি? শিরোনামে ষ্পষ্ট বলা উচিত এটা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অসমীয় ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতির দাবী। তা না করে এমন তালগোল পাকিয়ে বলা হলো যেন ১৯৫২র মহান ভাষা আন্দোলন স্বীকৃতি পেল আর আমরা ১৯৬১ তে ১৯ মে রক্ত দিয়েও স্বীকৃতি পাচ্ছিনা!!!! এটা বুঝে কোন আমলা নির্ভর সিদ্ধান্ত আরকি!! আর মন্ত্যব্যে তার সতীর্থদের কি বলছে দেখূন.. লেখক বলেছেন: জাতহীন, সীমানাহীন সমাজের প্রতিনিধিকে লাল সেলাম!!! "১৯ মে ১৯৬১, বাংলা ভাষার দাবীতে ১১ জন মারা যান পুলিশের গুলিতে শিলচরে। ভারতের আসামের একটি শহর। যেখানে সিলেটি-রূপ প্রাধান্য, যেটা ইতিহাসের জারজ অধ্যায়, রেফারেন্ডামে টুকরো হয়ে যাওয়া বাঙালীর ক্রীড়া অথবা ক্রীড়নক নৈপুণ্য। "" আর নীচের লাইন গুলোতো অসমীয় ভারতীয়দের ব্যার্থতা যে তাদের ভাষা শহীদদের বেদীতে কুকুরে পেচ্ছাপ করে.... কিন্তু তাকে এমন ভাবে বলা হলো যেন এটি বাংলাদেশের কোন হরহামেশার ঘটনা!! দেখুন.... "আজও পথের ধারে কুকুরের পেচ্ছাপ করার আঁড়াল হয়ে শহীদবেদি দাঁড়িয়ে যত্রতত্র।

আজ সকালের বাসী ফুল ও শব্দ প্রাবল্য। যে রেলস্টেশনটি মানুষের মাংস ও রক্ত শুঁকে লিখে রাখে বাংলায় বানান, সেটি ভাসা শহিদ স্টেশন নয়, আর এই অংশ গুলো তো ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার... সেখানে সামু কি এজেন্ডা নিয়েছে নাকি?? নীতিমালায় কি বলে???? লক্ষ্য করুন.. " ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক এরাপোর্ট থেকে সরাসরি এখনও উড়ে আসা যায় না ঐ শহরে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাষা শহীদ এক্সপ্রেস সপক্ষে ভেটো দেন, ফিতা কাটা হয়, শিলচর-আগরতলা ইন্টারসিটি মেইল, ঝিকঝিক করে ১৯৪৭ থেকে ২০০৮ সনে উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও রাজ্যের রাজধানীতে প্রথমবারের মত ঢুকে পড়ে হুইসেল বাজিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে, হাতনাড়া দেখতে দেখতে। পরদিন যায় ঐ ট্রেন আবার, কাউন্টার বলে দেয়, টিকিট ছাপানো চলছে। "" ভারতের আসামে তারা অসচেতন এবং তাদের ভাষা বা অন্য দাবী নিয়ে যেমন খুশি ভাবতেই পারে বলতেই পারে।

কিন্তু আমাদের সামু কি তাদের মূখপাত্র!!!!! আবার ৫২র মহান ভাষা শহীদদের সাথে মিলিয়ে যেন তাদের জাতে উঠানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা.. সালাম, বরকত, জাব্বার............................. কমলা ভট্টাচার্য,শচীন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র সূত্রধর, কানাই লাল নিয়োগি, চন্ডীচরন সূত্রধর, সত্যেন্দ্র দেব, হিতেশ বিশ্বাস, কুমুদ রঞ্জন দাস, তরনী দেবনাথ, সুনীল সরকার,সুকুমার পুরকায়স্থ~জগন্ময় দেব, দিব্যেন্দু দাস এবং সুদেষ্ণা সিংহ। ..."" দেশদ্রোহীতার অনেক চতুরতা মিশিয়ে যা বলেছে শেষে নিজেই যেন তা পরিস্কার করলেন লেখক... "তালগোল থেকে কী বলা, বলা এইযে শোষিতের জাত, ভাষা এক হচ্ছে না বলেই ভাষাশহিদ নিয়ে আমাদের মায়া কান্না এখনও জারি। ভাষাশহিদ নিয়ে আমাদের মায়া কান্না এখনও জারি। !!!!!!! কি বুঝাতে চান তিনি??? কোনটা মায়া কান্না? তারটা না এই ভাষা পোয়োগের মাধ্যমে ৫২র ভাষা শহীদদের অপমান করার চেষ্টা!!!! আর এটাকেই কিসের ভিত্তিতে ষ্টিকি করলো সামু!!????? বলুন তো কে আমি? বলেছেন: শহীদদের প্রতি লাল সালাম। কিন্তু এই পোস্টের বক্তব্য বুঝি নাই।

লেখক নিজে বুঝেছেন কিনা সন্দেহ আছে। আই মিন, উনি কি বলতে চেয়েছেন উনি নিজেও ক্লিয়ার কিনা সেটা নিয়া সন্দেহ আছে। ------------ তেমনি পরের প্রায় সবগুলো প্যারা। ১৯৫২ সালে সালাম-বরকতরা শহীদ হোন। আমাদের কূটনৈতিক সাফল্যের ফসল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

১৯ মে ১৯৬১-এর শহীদদের জন্য আসামীদের বা 'সচেতন' মানবতাবাদী ভারতবাসীর এতদ্‌সম্পর্কিত কোন দাবিদাওয়া আছে কি? থেকে থাকলে একাত্ম হই, কিন্তু এ যাবত কালে তা শুনিনি। আর না থেকে থাকলে এটা আপনার মায়াকান্না। এমন এলোমেলো একটা লেখাটাকে স্টিকি করার মাহাত্ম্য ধরা আমার পক্ষে খুবই কঠিন হলো। আর তাদের এই আয়োজন যে বিশেষ গুষ্ঠীর এবং পরিকল্পনার তা কিছু মন্ত্যব্যকে সামনে নিয়ে ভাবলে পরিস্কার বোঝা যায়!... তপন বাগচী বলেছেন: আজ ২টি অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ। এসএমএস দিয়ে নিমন্ত্রণ করেছেন কলকাতার কবি শান্তনু গুপ্ত।

বিকেল ৫টায় কলকাতকার শিশিরমঞ্চে ১৯ মে নিয়ে আলোচনা। এ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় আমার একটা কবিতা থাকার কথা। আর ঢাকায় রেডটাইমসবিডি ইপত্রিকার উদ্যোগে আলোচনা। সম্পাদক সৌমিত্র দেব আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই মাত্র ফোন করলাম।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজরুল হক উপস্থিত হয়েছেন। আমি অপফসে আটকা পড়ে। যেতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। ১৯ মে-র শহীদের আত্মা শান্তি পাক। """ কলকাতা , আসাম ভারত, আমরা পছন্দ করতে পারি।

বেড়াতে যেতে পারি। বানিজ্য করতে পারি। কিন্তু আমাদের এই চেতনার যেন লোপ না পায় সবকিছূর একটা সীমারেখা টানতে হয়। ....সীমানা মুছে দেওয়ার এই পোষ্ট ষ্টিকি দেখে বিস্ময়াভিভূত!!!!!! হ্যালো সাম হোয়ার ইন???? আর ইউ ওকে??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।