কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
চ্যাপ্টার -১
চ্যাপ্টার -২
আমার পিচ্চি খালাতো বইন অন্তু । (নাম রাখা হৈছিলো অনন্ত, সেইটা সবার মুখে মুখে অন্তু হৈয়া গেলো) পিচ্চি থাকতে মারাত্নক ছটফইট্যা স্বভাবের ছিলো । খরগোশের মত । সারাক্ষণ লাফালাফি, নাচানাচি । একদিন দুপুরে এইরকম নাচানাচিতে বিরক্ত হৈয়া খালা কয়, যা হুইত্যি যা, হিডা দিমু নইলে অ-ঙ্গা (যা শুতে যা, পিটাবো নাইলে এখন ) ।
ডর খাইয়া অন্তু গেলো শুইতে । কিছুক্ষণ পর কাঁথার নিচ থাইকা মুখ বাইর কৈরা কয়, আম্মু আঁ-র হোতা আইয়েন্না ত । (আম্মু , আমার শোয়া আইতাছে নাতো ) । খালাতো টাশকি, কি ভার্ব বানাইলো তার মাইয়া । হাসতে হাসতে আমগো দুইজনের অবস্থা কাহিল ।
তারপর এই মুখ সেই মুখ করতে করতে আমাগো পুরা গোষ্ঠিতে এখন এইটা একটা ক্যাচ ফ্রেইজ, ঘুম না আসলেই, হোতা আইয়েন্না ত ।
নোয়াখাইল্যা ভাষার ব্যাকরণ প্রচেষ্টার এই চ্যাপ্টারে থাকবে, সেইসব শব্দের অভিধান, যেইগুলার উৎপত্তির মূল আন্দাজ করা যায়, কিন্তু বিচ্যুতির পরিমাণ এত বেশি যে, বিচ্যুতির ধারা পুরাপুরি ফলো করা যায় না সেইসব শব্দের অভিধান ।
আর উচ্চারণের টিপস হিসাবে বরাবরের মত,
কেবলমাত্র আঞ্চলিক শব্দের উচ্চারণের জন্য এই লেখার কমন নিয়ম
১ : সকল একক 'চ' এর উচ্চারণ , সাইকেল শব্দের 'স' এর মত হবে । যুক্তাক্ষরের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে প্রমাণ বাংলার নিয়মেই অর্থাৎ বাচ্চা কাচ্চা সাচ্চা এসবের উচ্চারণের মতই হবে । বিশেষ ক্ষেত্রে উল্লেখ করে দেয়া হবে ।
২ : বর্ণ বা সিলেবলের পরে হাইফেন (-) এর উচ্চারণ হবে : আগের সিলেবলের , স্বরবর্ণের দীর্ঘায়িত উচ্চারণ, আগের সিলেবলে স্বরবর্ণ না থাকলে দীর্ঘায়িত 'অ' এর উচ্চারণ হবে ।
যেমন "বা-ইলা " (মসুর) শব্দের উচ্চারণ হবে বা+ আ + ইলা (ব এর পরে দীর্ঘ আ)
"ব-লা" (অলক্ষি, বান্দর এইজাতীয় গালি অর্থে) শব্দের উচ্চারণ হবে ব+অ+লা (ব এর পরে দীর্ঘ অ)
কিছু কিছু সম্মোচ্চারিত শব্দের একসেন্টের পার্থক্যের মাধ্যমে ভিন্ন অর্থ বুঝানো হয় । কিন্তু একসেন্ট লেখার মাধ্যমে বুঝানো যায় না । আশেপাশের কোন নোয়াখাইল্যাকে অনুরোধ করে একসেন্ট গুলা কিলিয়ার হৈতে পারেন ।
১ : ব্যক্তিবাচক সর্বনাম
আন্ডা = আমাদের, আমরা (দুই অর্থেই)
তোন্ডা = তোমাদের, তোমরা
আঙ্গো = আমাদের, তোঙ্গো = তোমাদের (আঞ্চলিক ভ্যারিয়েশন)
এতে = এইলোক (এতেরা = এরা)
হেতে = সেইলোক, সে (হেতেরা = তারা)
ইতি = এই মেয়ে (মহিলা) (ইতিরা = এরা (স্ত্রীবাচক))
হিতি = সেই মেয়ে (মহিলা) (হিতিরা = তারা (স্ত্রীবাচক))
অডা/ অ-ডা = এই , এই-ই (সম্বোধন এবং ধমকার্থে, পুরুষবাচক)
অডি/ অ-ডি = এই, এই-ই (সম্বোধন এবং ধমকার্থে স্ত্রীবাচক)
(নোট : অডা এবং অডি দুইটাই তুচ্ছার্থে, অতএব বায়োজ্যেস্ঠদের সম্বোধনার্থে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন)
অ-বা = এই-ই (সম্বোধনার্থে ,বায়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ এবং স্ত্রী দুইক্ষেত্রেই)
২ : স্থানবাচক সর্বনাম
ইঁ-নে = এইখানে / আঞ্চলিক ভ্যারিয়েশন : এইডে = এইখানে
হিঁ-নে = সেইখানে / আঞ্চলিক ভ্যারিয়েশন : হেইডে = সেইখানে
কন্ডাই = কোনখানে (কোথায় > কোনঠায় > কোনডাই > কন্ডাই)
ইঁয়ানো = এইখানে ; হিয়ানো = সেইখানে (আঞ্চলিক ভ্যারিয়েশন)
আঞ্চলিক ভ্যারিয়েশন : কন্ডে = কোথায় (কোথায় > কোনঠায় > কোনঠে > কনডে)
ইঁ-ন্দি = এইখান দিয়ে
হিঁ-ন্দি = সেইখান দিয়ে
কনান দি = কোনখান দিয়ে
মুই = দিকে
এমুই = এইদিকে
হেমুই = সেইদিকে
কনমুই = কোনদিকে
উতুর মুই = উত্তরদিকে (একইভাবে দশ দিকের জন্য)
৩ : এডভার্ব (বিশেষণের বিশেষণ/ক্রিয়া-বিশেষণ/ভাব-বিশেষণ)
এইচ্চা = এইরকম
হেইচ্চা = সেইরকম
কেইচ্চা = কোনরকম
অঁ-ঙ্গা = এখন
হেঁ-ত্তে = তখন
কঁ-ত্তে = কখন
গঁ-দি (হাঁটা) = জোরে (হাঁটা)
এক্কেরে = একেবারে
৪ : পদাশ্রিত নির্দেশক (আর্টিকেল/ দিস/দ্যাট....)
এগুন = এইগুলা, এরা
হেগুন = সেইগুলা, তারা
কনগুন = কোনগুলা, কারা
ইঁ-ন/ইয়েন = এইটা
হিঁ-ন/হিয়ান = সেইটা
কনান = কোনটা
এদ্দুর/এদ্দুরি/ একদ্দুর = এতটুকু
হেদ্দুর / হেদ্দুরি/ হেকদ্দুর = ততটুকু
কদ্দুর/ কদ্দুরি = কতটুকু
এক্কেন = একখান
দুইআন = দুইখান
তিনআন = তিনখানা (বাকি সব একই রকম, সংখ্যার পরে 'আন' প্রত্যয় যোগে, ব্যতিক্রম: হাঁচকান(হাঁচআন ও চলে), সাতকান(হাতআন ও চলে) দশকান বিশকান তিরিশকান চল্লিশকান এইভাবে হাইটকান পর্যন্ত, এর পর থেকে আবার শুধু আন প্রত্যয় যোগে)
৫ : ভার্ব (মৌলিক)
চঁডা = পা দিয়ে মাড়ানো
চোবা = থাপ্পর দেয়া
মুইরগানি = পায়ের গোড়ালি দিয়ে লাথি দেয়া
মু-ইয়ানি = হাতের মুষ্ঠি দিয়ে কিলানো
----------------------------------------------------------------------------
সকল ব্যাকরণবিদ ভাষাবিদগো কাছে ক্ষমা চাইতাছি ।
আমি ভাবছিলাম আপনেগো কাম খুঊঊউব সোজা । যেকোন মফিজেও পারবো । এখন হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝতাছি কাম কত কঠিন ।
ভিক্ষা চাইনা মা, কুত্তা সামলান অবস্থা । ধন্যবাদ কারে দিমু , নিজেরে নিজে ধন্যবাদ দিই ।
এত্ত ঝামেলার কাম হৈব স্বপ্নেও ভাবি নাই । ভাই-বইনেরা আপনেগো ইনপুট বন্ধ কৈরেন না । তাইলে কোনদিনও কমপিলিটতো দূরের কথা আংশিক কিছু একটাও বানাইতে পারুম না । আপনেগো পিলিজ লাগে , যার যা জানা আছে যোগ করেন । নিজের যোগ করা শব্দ এডানো হয় নাই দেইখা রাগ কৈরেননা ।
কাম অনেক, চেক টেক কৈরা সবারটাই যোগ করা হৈব । পুরা পরমিজ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।