যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
কলিগের মুখ শুকনা, কোন শব্দ নাই। চোখ ফ্যাকাশে। কিন্তু জোরে জোরে নিশ্বাস নিতেছে। কি হইছে? জিগাইয়া কোন লাভ হইলো না। নিরুত্তর।
এইবার পিঠে হালকা চাট্টি মাইরা কইলাম, ওই মিয়া, ভুম মাইরা রইছেন কিলা? কি হইছে? এইবারও কলিগের মুখে কোন রা নাই। চোখে পলক নাই। আরো জোরে নিশ্বাস নিতেছে। দেয়াল ভেদ কইরা কলিগ মনে হইতেছে বাইরে দেখতেছে। চোখের সামনে দুই হাত নাড়াইয়াও কোন লাভ হইলো না।
শেষে দিলাম একটা নাপিত ইসটিমার ছাইড়া - এই পাদের গন্ধে কলিগের আড়মোড়া না ভাইঙা কোন উপায় নাই। কলিগ লাফ দিয়া দাড়াইয়া কয়, একটা পরীক্ষা করলাম!
কি পরীক্ষা?
ধানে চাউলে আর্সেনিক, তার মধ্যে আবার সবচেয়ে ভাল চালগুনিতে বেশী, যেমন মিনিকেট, পায়জম!
হু! তো?
লাউশাক, পুইশাক, ডাটা শাক! মানুষ তো এইগুলানই বেশী খায় - আর্সেনিক আইছে সেইখানেও!
হু! হু!! তো?
যত শবজী আছে, পটল, ঢেরস, রেখা, শশা, বেগুন! সেইখানেও আর্সেনিক!
হু! হু!! হু!!! তো?
মাছের মধ্যেও ঢুকছে - রুই, কাতল, পাঙ্গাস!
হু! এইটা তো নতুন খবর না। কিন্তু আপনি কি পরীক্ষা করলেন? কলিগের কথার আগা মাথা বুঝি না।
কলিগ বলে, শোনেন মিয়া, খালি তো ফাল মারেন, যে হারে আর্সেনিক ছড়াইছে সব শাকসবজীতে, ধানে-চালে, মাছ-মাংশে, অচিরেই দেখবেন বাতাসেও আর্সেনিক চইলা আইছে, নিশ্বাসের সাথে আর্সেনিক ঢুকবে! সেইটাই একটু পরীক্ষা করতেছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।