দিশেহারা অবস্থা আজ ছাগু সাম্রাজ্যে।
কত টাকা, কত মিথ্যাচার। তারপরেও পারছে না।
এই জামাত শিবিররের যে ছাগুদের আপনারা দেখছেন আজকে, যারা বয়সে তরুণ, অর্থাৎ তরুণ ছাগু, এদের রিক্রুটিং শুরু হয়েছিল গত বৃহত্তর জামাতে ইসলামী থুক্কু বিএনপি আমলে। এরা স্কুলে স্কুলে যেয়ে কিশোর কন্ঠ আর জুভেনাইল ভয়েস বেচতো প্রথমে।
পরে একটু ধর্মের কথা বলে স্থানীয় কোন মসজিদে দাওয়াত দিত শুক্রবারে, নামাজের সময় ব্যাতীত। এরপরে পুলাপান অনেকে যেত, পুলাপানের হাতে পায়ে ধরে যেভাবে অনুরোধ করতো, না যেয়েও পারতো না। সেখানে প্রথম দিন, ক্লাসের ধর্ম বইয়ে যা লিখা আছে, তাই বলতো। সাদামাটা ধর্মীয় আলোচনা, অথবা একক বক্তৃতা। এরপরে অন্য কোন জায়গায় অন্য কোন অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়ে মিটিং শেষ করতো।
ভুলেও এরা জামাত বা শিবিরের কথা বলতো না। পরে এইসব পুলাপানের মধ্যে কিছু যাইতো, কিছু যাইতো না। বাঙালি পুলাপান হচ্ছে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহনকারী। এরা স্বতস্ফূর্তভাবে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে, ফুটবল কাপ আয়োজন করে। তাই চরিত্রগত কারণেই পুলাপান আবার যাইতো।
এরপরে আস্তে আস্তে বের হত থলির বেড়াল।
এদের প্রধান টার্গেট থাকতো ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্ররা। বিশেষ করে রোল নং ১ থেকে ৫ এর মধ্যে যে ছাত্ররা থাকে, তারা। এরা সবসময় মেধাবী ছাত্রদের নিতে চাইতো দলে। এরপরে একসময় কিশোর কন্ঠ বেচা বাদ দিয়া, তাদের স্থানীয় কোন নেতারে আইনা পুলাপানের হাতে সাথী হইবার ফর্ম ধরাইয়া দিত।
সেখানে দৈনিক কয় ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে, কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে সব লিখে রাখতে হত। পুলাপান ভাবতো ভালোইতো, একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে গেলে আরও ভাল ছাত্র ও ভালো ধার্মিক হতে পারবে। আর ভাল ছাত্রদের লক্ষ্য থাকে আরও ভাল হওয়া। তাই ফরম ব্যাবহার করতো এরা। এরপরে এরা স্কুল/কোচিং সেন্টারেই কমিটি বানাইতো পুলাপানরে দিয়াই।
এরপরে পুলাপানরে বিভিন্ন জমায়েতে ডাক দিয়া আস্তে আস্তে পুলাপানরে সরাসরি শিবির বানাতো।
এই প্রসেস শুরু হত ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত। এইযে ছাগুরা শিলামস্তিষ্ক, এরা কারণ খুব কম বয়স থেকেই এদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এরা চাইলেও দীর্ঘদিনের শিক্ষা থেকে বের হতে পারে না।
এইভাবে এরা সারা দেশে বিশাল ছাগু নেটওয়ার্ক বানাইছে।
এই ছাগুরাই আজকে সামুতে ল্যাদাইতাছে।
কথা হচ্ছে এই ছাগু প্রজন্ম কি করবে? দেশের কি কাজে লাগবে এরা? সমাজে এরা কি করবে?
তবে আমি আশা করি শিক্ষার কোন বয়স নাই। ছাগুরাও তাদের এই দীর্ঘদিনের ট্রেনিং থেকে বের হয়ে আসবে। বের হয়ে আসবে ধর্মান্ধতা থেকে।
এক বদ্ধ গুহায় এই ছাগুদের বাস।
এরা জানে না জীবনের সৌন্দর্য কতখানি। এরা এক অসুস্থ সংস্কৃতির মধ্যে বসবাস করে। এরা গান ঘৃণা করে, শিল্প ঘৃণা করে, আকাশ ঘৃণা করে, বাতাস ঘৃণা করে। এক অন্ধকার ঘরে নিজেদের মনকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে এরা। আশা করি এরা এই অন্ধকার ঘর থেকে বের হয়ে আসবে।
দেখবে তার চারপাশে কত সৌন্দর্য, জীবনটা কত সুন্দর। মানুষের অসাধ্য কিছু নাই। মানুষ নিজেকে নিজে জয় করতে পারে, পার হতে পারে নিজের সীমাবদ্ধতা। এরাও জয় করুক নিজেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।