আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষন্নতা একটি ব্যধী...[আফসুস!]

পথ বাঁধতে চেয়েছিল বন্ধনহীন গ্রন্থি...

অনেকদিন হল কিছু লেখা হয়না...হঠাত করেই মনে হয় সবকিছু থেকে আমি উতসাহ হারায় ফেলছি...বিষন্নতা একটি ব্যধ এবং এই ব্যাধীটা আর কাউকে না হোক আমাকে খুব প্রকটভাবে আক্রান্ত করে সময়ে সময়ে, একটা সময় ছিল যখন আমি এর জাল কেটে বের হয়ে আসতে চাইতাম...তীব্র প্রতিবাদ মুখর আমাকে বিষন্নতার মত ধ্বংসাত্মক রোগও ভয় পেত...তবে আজকাল আর কেউই আমাকে ভয় পায়না, আসলে আমি আজকাল কাউকে ভয় দেখাইইনা...বম্লামনা...these days i've learnt to keep it to myself...কাউকে কিছু বলতে ইচ্ছা করেনা, কারও কাছে কিছু চাইতেও ইচ্ছা করেনা..একা থাকাটা এখনও অভ্যাস হয়নাই তাই মাঝে মাঝে খুব মনখারাপ হয়, কিন্ত কষ্ট করে শিখে নিচ্ছি...সব বিদ্যাই একসময় না একসময় কাজে লাগে... এই পৃথিবীর আর সবার মতই আমিও কিছুটা স্বার্থপর...তাতে দোষের কি? নিজের আখের গুছিয়ে নেয়ার মাঝে দোষের কি আছে, কিন্তু তারপরেও বাসের দুহাত কাটা ভিক্ষুকটা বা ওভারব্রীজের নিচে বসে থাকা কুষ্ঠরোগীটা যখন হাত বাড়িয়ে দুটা টাকা চায় আর মানিব্যাগে ১০টাকার নিচে ভাংতি নাই দেখে এদের দেখেও না দেখার ভান করে গটগটিয়ে হেটে চলে যই, তখন নিজেকে একটা ছোটলোক মনে হয়! আচ্ছা তাহলে কি বলতে পারি...এখন কি আমার খুব দুঃখের সময় যাচ্ছে? মজার ব্যাপার হল, উত্তর টা হচ্ছে, জ্বীনা...আমি বেশ ভালই আছি [যদিও চাকরী না থাকার কারনে কিছুটা টাকা পয়সা জনিত সমস্যায় আছি! তবে, চাইলে কিছুটা বিরক্তিযুক্ত একটা 'কেন?'-র উত্তর দিয়ে আমি আম্মুর থেকে টাকা নিতেও পারব]...কিন্তু সত্যি কথা হল কারও কাছে কিছু চাইতে ভাল লাগেনা...যদিও সারাদিনই কারওনা কারওর কাছ থেকে কিছুনা কিছু আমি নিয়েই চলছি...ভুলোমনা হবার কারনে বেশির ভাগ দিনই আমি মানিব্যাগ রিফিল করতে ভুলে যাই, ফলাফল আমার বন্ধু তিনজনের উপরে অত্যাচার! রাফি, আমি চা খাব, অথবা, জাভেদ টাকা বের কর, ঝালমুড়ির বিল দে, অথবা ওসমানের কানের কাছে প্যান প্যান করা, যে আমার ডাব খেতে ইচ্ছা করছে, ও বেচারা ভদ্রলোক, মুখের কথা খসলেই আমার ইচ্ছা পূরন হয়ে যায়!... তবে বিশাল রকমের খরুচে স্বভাবের হবার কারনে আর 'আব্বুর থেকে আমার শখ পূরনের জন্য টাকা নিবনা'- এই জাতীয় নিজের কাছে নিজের প্রতিজ্ঞার কারনে আমি এখন পড়ে গেছি বিরাট সমস্যায়! নিজে নিজের কথা না পারি ফেলতে, না পারি গিলতে, বিরাট ব্যাং গলায় আটকে সাপের মত বেকুব হয়ে বসে আছি... আজকে মাথা কেমন যেন আউলা লাগছে...সকালে একটা পরীক্ষা ছিল, দিলাম...শুন্য না পেলেও মনে হচ্ছে মাইনাস নম্বর পেতে পারি...[আফসুস!] তারপরে সারাদিন তিনটা ক্লাস করে পুতুলের বাসায় আসলাম[ আমি এখন পুতুলেরই লেপুতেই এই ঘোড়ার ডিমটা পাড়লাম...] তারপরে আজ বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বৈশাখী আপুকে মেহেন্দি দিয়ে দিলাম...আপুর কাল বিয়ে...তিনজনে অনেক মজা হল...তারপর থেকে [মানে আপু যাওয়ার পর থেকে ] শুরু হল আমাদের আড্ডা...[যা এখনও চলছে...] দুজনেই খুব বিষন্ন ছিলাম, একজন এখন আরেকজনকে সাহায্য করচি এটা কাটিয়ে উঠতে... এটা আমার দেয়া... এটা পুতুলের দেয়া...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।