অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
অনেকদিন পর লিখতে বসে এ রকম একটা ইস্যু নিয়ে লিখতে হবে ভাবিনি। কারো চরিত্র হনন করা বা গালাগালী করা কোনটায় আমার স্বভাবসিদ্ধ নয়, ভাষা জ্ঞানও যে খুব বেশী তাও নয়। ইদানিং ই-রাজাকার নামে একটা শব্দ চালু হয়েছে ব্লগে। কত জন ব্লগার তা গ্রহন করেছেন বা বর্জন করেছেন তা জানিনা, কারন অনেকদিন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম।
এই শব্দের প্রবর্তক এর কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলাম, তিনি কথায় কথায় তার বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের জন্ম অনুসন্ধান করে থাকেন এবং শেষমেস বেজন্মা হিসাবে আবিষ্কার করেন (শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে)। একটা কথা আছে, যে যেমন, সে তেমনই ভাবে। না জেনে কারো জন্ম নিয়ে সন্দেহ করতে চাই না। যারা অন্যের মা'কে গালাগালি করে তারা নিজের মা'কে কতটুকু সম্মান করে শুধু এই প্রশ্ন করি। শধুমাত্র পোষ্টের লেখার সমালেচনা করার জন্য যারা কারো চরিত্র হননের চেষ্টা করেন তারা কখনই ভদ্রলোক নন।
বাংলা অভিধান আমার কাছে নাই তাই সংবেদশীল বা স্পর্শকাতর শব্দের বিশদ ব্যাখ্যা খুজতে পারলাম না। কেউ যদি ব্যাখ্যা করেন তাহলে ভাল হয়। এমন অনেক শব্দ আছে আমরা অনেকই তার প্রয়োগ জানলেও অর্থটা খুব ভালো ব্যাখ্যা করতে পারি না। যতটুকু জানি যে বিষয়গুলো আমাদের মনে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া তৈরী করে সে গুলোই সংবেদশীল বা স্পর্শকাতর বিষয়, এবং এই প্রতিক্রিয়া বিষয়কে বিশেষভাবে গতিশীল করতে পারে অথবা শিথিলও করতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো রাজাকার ইস্যুটি কি আমাদের মধ্যে তিব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না ? রাজাকার কি বাঙ্গালীর এলার্জি নই ? তাহলে রাজাকার ইস্যুটি
সংবেদশীল বা স্পর্শকাতর বিষয় নয় কেন?
আমি অবশ্যই রাজাকার ইস্যুটি অসংবেদশীল(insensitive > callous > dull) বা স্পর্শকাতরনই বলে মনে করি না।
স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর যখন এদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে রাজাকার মুক্ত করতে যাচ্ছে তখন ই-রাজাকার ইত্যাদি নাম দিয়ে নতুন প্রজন্মকে জোর করে রাজাকার বানানো একটা অসুস্থ্য প্রয়াস বলেই মনে করি। বর্তমান প্রজন্মের কেউ কোন ভাবেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিল না, মুক্তিযুদ্ধ বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি স্বাধীন ভুখন্ডের অভ্যুদ্বয়ের বীরত্বপুর্ণ ইতিহাস যার নায়ক তাদেরই পুর্বপূরষ। আরা যারা সেই সময় রাজাকারী করেছেন তারাই নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। আসুন আমরা ই-রাজাকার ইত্যাদি নাম দিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিভক্ত না করি বরং সঠিক ইতহাস প্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তদেরকে সত্যের পথে নিয়ে আসি।
একদা বুশ ডাক দিয়েছিলেন হয় সন্ত্রাসের পক্ষে অথবা আমেরিকার পক্ষে।
এই ব্লগে একজন জইন ডাক দিয়েছেন হয় রাজাকারের বিপক্ষে আর না
হয় বেজন্মা।
মি. জইন সন্ত্রাস - রাজাকার কারো পক্ষে আমি নই, আর সন্ত্রাসী- রাজাকার ইত্যাদি চিহ্নিত করার দায়িত্বও আপনাকে দিয় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।