মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ শুরু হবে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আসামি পক্ষের তৃতীয় ও শেষ সাক্ষী সাজ্জাদ বিন আলীমকে প্রসিকিউশনের জেরা শেষ হয়েছে। সাফাই সাক্ষী হিসেবে অভিযুক্তের এই ছেলেকে জেরা করেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত। শুনানির সময় আবদুল আলীম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর মধ্য দিয়ে আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে উপনীত হলো। এরপরে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হবে। পরে রায়ের দিন ধার্য করা হবে। আলীমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তবে একজনকে বৈরী ঘোষণা করে জেরা করেছেন প্রসিকিউশন।
অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া দুজনের জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, আবদুল আলীম জয়পুরহাটের আবুল কাশেম হত্যা ও ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধার গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া জয়পুরহাটের করাইকাদিপুর এলাকার গণহত্যাসহ চকপাড়া, জুড়িপাড়া, পালপাড়া, সোনাপাড়া এলাকায় ৩৮ জনকে হত্যারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনে প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম শুনানি করেন।
৮ সেপ্টেম্বর আসামি পক্ষের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আজহার মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেও মানুষ হত্যা করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ এনেছি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশনের আনিত অভিযোগগুলো হাস্যকর।
তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হচ্ছে তিনি একজনকে চড় মেরেছেন। আর এ চড় মারার অপরাধে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।