ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়, বিএনপির স্থপতি জেনারেল জিয়া নাকি এসব বলতেন সবসময়। তাই যদি হয়, তাহলে আজ তার দল বিএনপি, তার বউ যিনি একজন দলের ব্যক্তি তার বাড়ি কেন প্রধান ইসু?
কোথায় গেল জিয়ার আর্দশ। বিদুৎ পানি দ্রব্যমূল্য কেন প্রধান ইসু নয়?
আর আওয়ামেলীগ তারা তো সবসময় বলে বেড়ায় তাদের দল প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, প্রতিশোদ পরায়ন নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে আজ কেন তারা শেখ রেহানার বড়াদ্দকৃত বাড়িকে বিগত আমলের বিএনপি সরকার পুলিশ স্টেশন বানিয়েছে বলে খালেদা জিয়ার বাড়িকে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের বাড়ি বানানোর জন্য এই পীড়াপিড়ি। এতদিন সহ্য করলেন এসব ।
এখন কেন সহ্য করছেন না? ক্যন্টোরমেন্টে থেকে খালেদা ৩১ টা সিটের পার্টিতে পরিনত হয়। কি রাজনীতি করল ঐ ক্যন্টোরমেন্টের বাড়িতে থেকে। ক্যন্টোরমেন্টের রাজনীতি করে তো তিনিসহ তার পরিবারকে জেলের ভাত ও তার সন্তানদের দেশ ছাড়া করেছে। এখন তাকে ঐ বাড়ি ছাড়া করে আপনাদের কি অর্জন হতে পারে? দেশনেত্রী হাসিনা আপনি দলের কতিপয় চামচাদের কথায় আগ বাড়িয়ে এসব করতে যাবেন না। এসব রাজনীতির কারণেই আমাদের দেশে গনতন্ত্র ঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
আমি আপনার স্থলে থাকলে ক্যন্টোরমেন্টে টি ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতাম। রাজধানীর ভিতর কোন বেসামরিক এলাকার সাথে সামরিক এলাকা থাকে না। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এরকমটি আছে বলে আমার জানা নাই। আমার কতিপয় বন্ধু মানিকদি থাকে তারা আমাদের সাথে রাতে আড্ডা দিতে পারে না ঐ ক্যন্টোরমেন্টের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে । তাই খালেদাকে উচ্ছেদ না করে ক্যন্টোরমেন্ট কে উচ্ছেদ করুন।
সেটাই হবে জনগনের জন্য সবচেয়ে ভাল। কিন্তু জানি আপনারাও তা করতে পারবেন না। কারণ ঐ সেনাদের বাপ আমেরিকার পা চেটেই তো ক্ষমতায় এসেছেন।
দুদুক চেয়ারম্যনের পদত্যগ কি কারনে ঘটল তা আজ অজানা। মারফতি কথা বলে তিনি পদত্যগ করলেন।
ভাল হত তিনি যদি কোন কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে সেই বাধার কারণে পদত্যগ করতেন। যেভাবে আল্লাহর নির্দেশে তিনি পদত্যগ করলেন তাহলে বলতে হয় তিনি কি আল্লাহর নির্দেশে দুদুকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন? দুদুকের দায়িত্ব নেওয়ার সময় তো এসব মারফতী কথা মিডিয়াতে তিনি বলেন নাই বা কোথাও শুনি নাই। যাক তার পদত্যগ করার অধিকার আছে তিনি তা করেছেন। কিন্তু তিনি যেসব কাজ করেছেন তার জবাবদিহিতা তাকে দিতে হবে? আর সেটা দিতে না পারলে চোরের দল নিজেদের সৎ , তাদের চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হয়েছিল এসব আজে বাজে কথা সারাক্ষন যেখানে সেখানে বলে বেড়াবে। আর জবাবদিহিতা তাদের কাছেই দিতে হবে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নিতীর কোন অভিযোগ নাই, পদের অপব্যবহার করার কোন অভিযোগ নাই।
সংসদে সমাজতান্ত্রীক দলের অনেক নেতা আছে । আছে অনেক সরকারী ও বিরোধী দলের নেতা যাদের বিরুদ্ধে দুর্নিতীর কোন অভিযোগ নাই , ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নাই । তাদের নিয়ে সংসদীয় একটা কমিটি বানিয়ে এসব ব্যপারে তদন্ত করা যায়। আশা করি সাবেক দুদুক চেয়ারম্যন তাদের কাছে দুর্নিতী নিয়ে তার বক্তব্য পেশ করবেন। সাবেক আমলা নিয়ে এসব তদন্তের বিচার হতে পারে না।
নৈতিকতা বিবর্জিত ঐসব চোরটা আমলারা কোন জবাবদিহিতা আদায় করার নৈতিক অধিকার রাখে না।
আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি হাসিনা-খালেদা একটা পাক্কা র্চুনি। তাই আমি তাদের দুইজনের একজন কেও ভোট দেই নাই (শয়তানের কসম)।
বিশেষ সুত্রে জানা গেল পিলখানার রিপোর্ট সরকারের হাতে। এখন সেটা প্রকাশ করা নিয়ে যে টালবাহানা শুরু করেছে তাতে এই সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য ফুটে উঠছে।
সাহারা আপাকে বলব অবিলম্বে রির্পোট টি পেশ করুন। অন্তত প্রাথমিক ভাবে হলেও তা প্রকাশ করুন। হাজার হাজার বিদ্রোহীর জবানবন্ধি নিয়ে তারপর রির্পোট প্রকাশ করবেন তাহলে তো পাচ বছরেও তা শেষ হবে না। এই পযর্ন্ত যা তদন্ত করে পেয়েছেন তাহাই প্রকাশ করুন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনির ব্যর্থতা পরিস্কার ফুটে উঠছে ।
মালয়শিয়াতে তিনি গেলেন মিটিং করলেন কিন্তু শ্রমিক তো ফেরত আসছে প্রতিদিন। শ্রমিক ফেরত আসছে দুবাই থেকেও। আর হাসিনার বেয়াই রাজাকার মোশারফও তো ব্যর্থ। সে তো একটা চাপাবাজ । লাখ লাখ লোকের জন্য নতুন শ্রম বাজার তৈরী করবেন বলে ঘোষনা দিলেন।
সেসব গেল কই। তার এই ঘোষনার কি মানে আছে যদি কোন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার কোন ঘোষনা না আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।