যখন আমি হবো শুধুই স্মৃতি, আমার এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা গুলো সবার সামনে আমাকে আরো স্মৃতিময় করে তুলবে।
বলপয়েন্ট বইটি এবছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে।
বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ তার জীবনের বিভিন্ন বেলায় ঘটা মজার, বিয়োগবিধুর ঘটনার অবতারণা করেছেন। তবে এর মধ্যে একটি ঘটনা সবচেয়ে বেশী রহস্যময়।
আপনাদের সাথে তা শেয়ার করছি।
ঘটনাটা আমি আমার ভাষায় বর্ণনা করছি।
তিনি লিখেছেন, সপরিবারে কোথাও সহজে বেড়াতে যাওয়া হয় না। লেখালেখি, অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় এমনটা হয়। কিন্তু অনেকদিন পর তাঁরা সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী গুলতেকিনকে নিয়ে।
সেসময় প্রথম কয়েকদিন ভালই সমারোহে কাটালেন। কিন্তু অনেক দিন ছুটি থাকায় তিনি সেখানেই নিরিবিলি লেখালেখি করতেন। এর মধ্যে কয়েকদিন চলে গেল।
তিনি যখন টেবিলে বসে লিখতেন তখন একটা ৯-১০ বছরের ছেলে দরজায় দাড়িয়ে তাকে উকি মেরে দেখতো। ভেতরে আসতো না।
অনেক দিন হয়ে যাবার পর মাঝে মাঝে হুমায়ূন আহমেদ তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসতেন। ছেলেটার নাকি চুরির অভ্যাস ছিল। এটা সেটা নিয়ে যেত মানুষের ঘর থেকে। এটা জনশ্রুতি হিসেবে শুনেছিলেন তিনি। যদিও নিজেও প্রমাণ পেয়েছেন এর।
এরই মাঝে ছেলেটির সম্পর্কে একটা ঘটনা তিনি জানতে পারেন।
ছেলেটি নাকি একবার মারা গিয়েছিল।
স্বভাবতই তিনিও ঘটনাটি জানার চেষ্টা করেছিলেন।
ছেলেটি অসুখে মারা গিয়েছিল। তাকে কবর দেয়া হয়।
কিন্তু এর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ছেলেটার ফুপু হঠাৎ গ্রামে হন্তদন্ত হয়ে এসে কাঁদতে লাগল। সে বলল সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে ছেলেটা বেঁচে আছে। তাই তাকে কবর থেকে তুলতে হবে।
শেষ পর্যন্ত গ্রামে অনেক তর্ক বিতর্কের পর সিদ্ধান্ত হল কবর আবার খোড়া হবে। তার স্বান্তনার জন্য।
কিন্তু কবর খুড়ার পর সবাই নিজেদের বিশ্বাস করতে পারে নাই। দেখে ছেলেটা কবরে বসে চোখ পিটপিট করে তাকাচ্ছে।
এখন আর লিখতে ইচ্ছা করছে না। পরের টুকু আগামীকাল দেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।