জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
একটি চমৎকার ইশতেহার উপহার দিয়ে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও ভিশন ২০২১ ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী মানুষের সমর্থন পেতে সক্ষম হয়। যার ফলে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ে ক্ষমতায় আসে দলটি।
তাদের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা ছিল। সেই অনুযায়ী কাজও হচ্ছে। একটি বিরাট মাপের কাজ।
সহজ নয় মোটেও।
তাছাড়া ইশতেহার অনুযায়ী যে সব কাজের কথা আছে তা করতে গেলে দীর্ঘ তালিকা ধরে কেবল কাজ করে যেতে হবে। নিঃশ্বাস ফেলার সময়ও পাওয়া যাবে না এই সরকারের।
অথচ বাস্তবে আমরা কী দেখছি ? একের পর এক প্রতিপক্ষ বাড়াচ্ছে এই সরকার। কাজের চেয়ে অকাজ বা কাজের লেজ বেরুচ্ছে বেশি।
যেমন :
০১) ইশতেহারের কারণেই যুদ্ধাপরাধীরা এই সরকারের প্রতিপক্ষ।
০২) উপজেলা পরিষদ আইনে সাংসদদের কর্তৃত্ব থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানরা এই সরকারের উপর নাখোশ হয়েছে বলা যায়। উপজেলা নিয়া সাংসদ বনাম চেয়ারম্যান দ্বন্দ্বযুদ্ধ অচিরেই দেখতে পারব আমরা।
০৩) পিলখানা ঘটনায় বিডিআর ও আর্মির একটা অংশ এই সরকারের উপর বিরক্ত।
০৪) দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান নাজেহাল হওয়ায় যারা দুদকের উপর ভরসা করতেন তারা ক্ষুব্ধ।
০৫) বাড়ির লিজ বাতিল করায় খালেদা জিয়া ও বিএনপি ক্ষুব্ধ। তারা ইতিমধ্যে মওকা বুঝে দুদিনের টেস্ট কর্মসূচি দিয়েছে।
০৬) ব্যাপক রদবদলের কারণে সরকারী কর্মকর্তাদের একটি অংশ নাখোশ।
০৭) ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে দেশের প্রত্যেকটি সচেতন নাগরিক চরম বিরক্ত।
০৮) কওমী মাদ্রাসা সাইজ করার কথা বলে এক শ্রেণীর আলেমদের ক্ষেপিয়ে তুলছে।
আসলে আওয়ামী লীগ সরকার করছে টা কী ? তারা তো তাদের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের বদলে নানা রকমের অপ্রয়োজনীয় কাজ করে তাদের প্রতিপক্ষ বাড়াচ্ছে। এত প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেশের জন্য কাজ করা কি সম্ভব ?
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের মূল কাজ ফেলে রেখে অনর্থক কাজের তালিকা বাড়িয়েছিল বলেই শেষ মুহূর্তে এসে ভোল পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিল। মাইনাস টু থেকে প্লাস টু করতে বাধ্য হয়েছিল। ফুটপাত দখলমুক্ত করার মতো অনর্থক কাজে শক্তি ক্ষয় করার জন্যই তারা তাদের মূল অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতেও সক্ষম হয়নি।
তেমনি এই সরকার যদি অনর্থক কাজে শক্তি ব্যয় করতে থাকে এবং এর মাধ্যমে তাদের প্রতিপক্ষ বাড়াতে থাকে,তবে তাদের ইশতেহারে ঘোষিত কোন কাজই শেষ পর্যন্ত সমাধা করতে পারবে না।
৫ বছর পর ব্যর্থতার ঝুলি নিয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হবে তাদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।