নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
নিয়মিত অমানুষ স্বামীর পিটুনি খেতে অভ্যস্ত গ্রাম্য স্ত্রী ধরেই নেয় "এটাই স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন"। কিন্তু ভীন্ন কেউ চোখরাঙালেই অবলা তখন ফুঁসে উঠে। 'হারামির পোলা! তোর চোখ তুলে ফেলব...ইত্যাদি বলে' আত্ন অধিকারের আজন্ম চেতনার বহ্নিশিখা প্রজ্জলিত করে। যেটা আরো আগে সে করতে পারত বা করা উচিত ছিল।
পকেটমার, চুরি, জবরদখল, চাদাঁবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, শারীরিক আঘাত, মানসিক নিপীড়ন, অন্যের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, অপহরণপূর্বক বিয়ে, ধর্ষন, অংগহানী, হত্যা, এমনকি লাশের উপর নৃত্য- ইত্যাকার নানাবিধ মৃদু থেকে জঘন্য মাত্রার 'ধর্মহীন বা সেক্যুলার' অপরাধ আমরা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি।
তা চলছেও বছরের পর বছর। যাদের এসব অপকর্ম কঠোরভাবে দমনের দায়িত্ব ছিল তারা তা করেনি, উল্টা নানান সময় এহেন জঘন্য ক্রিমিনালদের পক্ষাবলম্বন করেছে। তবু তারা সরকার ছিল! আর 'সরকারী ক্রিমিনালকে ধরে' এত বড় বুকের পাটা কোন পুলিশের! পরিস্থিতি ঠাউরাতে পেরে ক্রিমিনালরাও বরাবর সরকারী দল করত। এ ধরনের ধর্মহীন সন্ত্রাসে বাংলার মানুষ প্রায় অভ্যস্ত বলা চলে।
হৈ হৈ রৈ রৈ শুরু হয়েছে মাদ্রাসা কেন্দ্রিক কিছু বিপথগামী লোক একই ধরনের অপকর্মে নেমে পড়লে।
অবশ্য একটা বিরাট পার্থ্ক্য আছে- ধর্মীয় জঙ্গিরা এখনো চুরি, ডাকাতি, রাস্ট্রীয় সম্পদ লুট, ধর্ষন জাতীয় বৈষয়িক সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যা সেক্যুলার সন্ত্রাসীরা নিয়মিত করেছে ও করে যাচ্ছে। এবং গায়ে আওয়ামীলীগ কুর্তা চড়িয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছে। ইতোপুর্বে তারা বিএনপি, জাপা ইত্যাদি কুর্তাও চাপিয়েছিল।
অদ্ভুত আচরন- স্বঘোষিত ভদ্রলোকদের, তাদের পত্রিকার, সভাসদদের।
মাদ্রাসার হুজুর হঠাৎ বোমা বানাইল কেন? ইহা মানব জাতি ও দেশদশের জন্য বিরাট সমস্যা। কারা মদদ দিল? শেকড় কোথায়? বাকড় কোথায়?
বলি, ততোধিক বিস্তার লাভ করা 'ধর্মের লেজ নেই এমনতর সন্ত্রাস' নিয়ে আপনার কন্ঠ এতটা উচ্চকিত ছিলনা কেন? নাকি ঐটা নরমাল??
পোলিও বা এইডসের জীবানু সেক্যুলার না ইসলামপন্থি, আওয়ামীলিগ না বিএনপি এমন ভাগ এখনো করা হ্য়না। যেকোন ধরনের যেকোন মাত্রার অপরাধকে ইক্যুয়ালি ট্রিট করাই কাম্য, যেভাবে মাদক, পোলিওর বিরুদ্ধে জাতি একাট্টা। এটার বাত্যয় ঘটিয়ে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের বর্ন, ধর্ম, মাজহাব, দল, উচ্চতা ইত্যাদি বুঝে আচরন করলে লাভ হবে কম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।