পরে লিখবো
বেশ কিছুদিন থেকেই যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার পর থেকে বিষয়টি আরো জোরালো হয়েছে। অন্য সবার মতো একজন বাঙ্গালী হিসেবে বর্তমান সরকারের কাছে আমিও যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি। তবে বিচারকার্য শুর করার আগে জনগনকে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যেমন, আসল যুদ্ধ অপরাধী কারা? কোন ব্যাক্তিকে কি কি কারণে যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে চিহৃত করা যায়? এবং আমরা বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক যুদ্ধ অপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়ার কথা শুনতে পাই।
কথাটির সত্যতা আসলে কতটুকু? বিষয়টি যদি সত্য হয় তাহলে, ক্ষমা করে দেয়ার পর কেন আবার বিচার করতে হবে। আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে, বিচারকার্য শুরু হতে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে। বিচারকার্য শুরু করতে আরো বিলম্ব হলে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে এবং প্রকৃত যুদ্ধ অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। সুতারাং সরকারের প্রতি আমার আহবান, দেরী না করে অতি সত্তর যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। কারণ বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ৭১ সালে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি, সে দেশে কোন যুদ্ধঅপরাধীর অস্তিত্ব থাকেত পারেনা, তাহলে যে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে।
তাই সকলের সাথে এক হেয় আমিও জোর গলায় বলেত চাই
বিচার চাই! বিচার চাই! যুদ্ধ অপরাধীর বিচার চাই!
বিচার চাই! বিচার চাই! যুদ্ধ অপরাধীর বিচার চাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।