সুশীল বল্গাররা একটু দেখে শুনে! নিজেকেই মডারেশনের আওতায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি, কঠিন কাজ! ঝামেলা করবেন না!
একটা পোস্টের কমেন্টে একজন প্রশ্ন করেছেন -
"মুক্তিযুদ্ধে কসাইয়ের ভুমিকা নিলেও রাজাকারেরা তাদের তৎকালীন দেশ পাকিস্তানের সাথে সহযোগিতা করে কি সত্যিই খুব বড় ভুল করেছে? তারা কি ইসলাম কায়েমের জন্য কাজ করেনি? হতে পারে আজকের বাস্তবতায় তা ঘৃনিত, কিন্তু তারাই এই দেশে আজ পর্যন্ত রাজনীতিতে ইসলামের ঝান্ডা উঁচু করে রেখেছে এটাও তো সত্যি"
আমার উত্তরটি অন্যদেরসাথে শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট দিচ্ছি।
না মোটেই ভুল করে নি। এর মাধ্যমে তাদের যা উপকার হয়েছে তার তুলনায় সামান্য কুৎসা - রাজাকার গালি খাওয়া তো কিছুই না। একটু চিন্তা করে দেখুন রাজাকার শারমেয়গুলোর কি কি লাভ হয়েছে-
১. হাজার হাজার হিন্দু মেয়েদের গর্ভে তাদের যেসব সন্তানরা মুসলমান হিসেবে জন্মেছে, তারা আজকে এদেশের অর্থনীতি-রাজনীতির একটি বড় নিয়ামক।
২. পাকিস্তানের নামে ইসলামের নামে জং না করলে মিডলঈশ্টে তাদের বায়োলজিক্যাল ফাদারদের কাছ থেকে পয়সাকড়ি পেত না।
সেই পয়সায় খাওয়া-হাগা-ব্লগিং সবই চলে তাদের।
৩. আন্তর্জাতিক যে কোন ফোরামে বিশ্বের বহু মুসলমানের অকুন্ঠ সমর্থন পাচ্ছে।
৪. প্রচুর রাজাকার বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির ঘাড় ভেঙে খাচ্ছে কিন্তু কেউ তাদের ঘাড়ে হাত দিতেও সাহস পায় না।
৫. যদি সে বাংলাদেশের গৃহযুদ্ধে অংশ না নিত এবং এই যুদ্ধ কয়েক বছর স্থায়ী হত তাহলে এই যুদ্ধে তাদের পিতা-মাতার নাম পর্যন্ত ভুলিয়ে দিত। তাই যুদ্ধে অংশ নিয়ে সে নিজের পিতৃপরিচয় দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ঠেকানো নিশ্চিত করেছে।
এরকম আরো অনেক সুবিধা পাবার জন্যই তারা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ, হত্যা, লুন্ঠন ইত্যাদি করেছিল। হ্যাঁ, তার সাহায্যে তাদেরও উপকার হয়েছিল - কিন্তু সেটা ছিল পারস্পরিক লেন দেনের ব্যাপার। পাকিস্তানি সেনারা রাজাকারদের পয়সা দিত, আর তারা বিনিময়ে ুটকি উদোম করে দিত। কখনো সখনো ব্যাথা হয়ে গেলে বউ-কন্যা এনে দিত। এতে দোষের কিছু নেই - পাকি আব্বাদের সেবায় গেলমান হয়ে গেলও আখেরে বরং লাভই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।