আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোলা দ্বীপের গল্প....।

সময় নাই

ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ। বংগোপসাগর আর ভয়াল মেঘনা দিয়ে ঘেরা বাংলাদেশের মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ জেলা। ভৌগলিক অবস্হান ও প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতার কারনে সৃষ্টির শুরু থেকে বিভিন্ন দিকে বন্চিত হয়ে আসছে ভোলার অধিবাসীরা। যোগাযোগ, বিদ্যুত,তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্পকারখানা,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ আরো অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে এই জেলা। একমাত্র মত্স ও কৃষি`র ওপর ভর করে আছে এই দ্বীপ জেলার অর্থনীতি।

কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল এই যে এই জেলায় একটি কোল্ডস্টোরেজও আজ পর্যন্ত স্হাপন করা সম্ভব হয়নি, যেখানে ভোলার মানুষ তাদের উত্পাদিত কৃষি ও মত্স পণ্য সমূহ সংরক্ষন করতে পারে। ভোলার চাষীদেরকে এখনও আলুসংরক্ষনের জন্য যেতে হয় লক্ষীপুর কিংবা মুন্সীগন্জ। ইলিশের খাচি মাইলকে মাইল পাড়ি দিয়ে নিয়ে যেতে হয় ঢাকা, লক্ষীপুর কিংবা বিক্রমপূর। বছর কয়েক আগেও ভোলার মানুষ ভোলার বাইরে যাওয়াকে ওনেকটা বিদেশ যাত্রা মনে করত। জেলার বাইরে অন্য কোথাও যাওয়া মানেই নদী পথ।

ঢাকা যাওয়ার মানে হল বারো ঘন্টার লণ্চযাত্রা আর উত্তাল মেঘনার জীবনগ্রাসী হুংকার তো আছেই। আরো অবাক করা ব্যাপার হল স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের সংসদে ভোলার দু,একজন করে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী ছিলেনই। তারা সবাই ই ভোলার মানুষকে হতাশ করে নিজেদেরকে প্রতারক ও নপুংষক হিষেবে প্রমান করেছেন। (শ্রদ্ধেয় মরহূম নাজিউর রহমান মন্জু ছাড়া, ভোলা জেলাকে আলো দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা তারই ছিল এবং ভোলাবাসী আজও তাকে শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ করে)হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কেউই ভোলার জন্য তাত্পর্য্যপূর্ণ কিছু করতে পারেন নি। বিগত কয়েক বছরে যোগাযোগ খাতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, যোগাযোগ খাতে ফেরি সংযোজন ভোলার মানূষদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েচে বটে তবে সেক্ষেত্রে অব্যবস্হাপনা ও অনিয়মের কারনে ভোলাবাসীদেরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ।

এছাড়াও পুরো জেলায় একটি শিল্পকারখানারও দেখা পাওয়া যায়না, কারন ভোলার শিল্পপতিদের সব শিল্পস্হাপনা ভোলার বাইরে। কারন তাদের বিশ্বাস একদিন ভোলা নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে, তখন তাদের কারখানা কোথায় যাবে? এবার আসা যাক ভোলার নদী ভাংগনের কথায়। দিন দিন নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলার উপকূল। আর এর জন্য ভোলার মানুষ দায়ী করে সেই সব নপুংষকদের যাদেরকে ভোলার মানূষ নির্বাচিত করে সংসদে পাঠায়। যারা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সূযোগ করে দেয় ভোলার মানূষের রক্ত চুষে খওয়ার জন্য।

ভোলার সব মানূষের বিশ্বাস যে পরিমান অর্থ আজ পর্যন্ত ভোলার নদী ভাংগন রোধের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো তা দিয়ে বহূ আগেই ভোলার চারিদিকে দীর্ঘস্হায়ী নদীভাংগন প্রতিরোধ ব্যবস্হা নেয়া খুবই সম্ভব ছিলো। কিন্তূ হায়রে কপাল..। আমাদের সুযোগ্য( ছিঃ....) নেতাদের অবহেলা ও নপুংষকতা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে আজো ভোলার ভবিষ্যত অনিশ্চিত......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।