আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।
জ্ঞান সম্পর্কীয় আলোচনায় সব'চে বড় বেকুবীর জম্ম দেয় জ্ঞান নিজে। সমগ্র জ্ঞানত্ত্ত্বীয় আলোচনা ঘুরে ফিরে 'জ্ঞান কি?' এই প্রশ্নে বিভোর। মান্যবর প্লাতন প্রায় আড়াই হাজার আগে বলে গেছেন জ্ঞান হলো 'যাচাইকৃত সত্য বিশ্বাস'। সত্য নিজে দুলর্ভ ফেনোমেনন হলেও এই সম্পর্কিত বিতর্কের বেশী অংশ বিশ্বাস সম্পর্কীয়।
এটা এক প্রকার সহী তর্ক। কোন ঘটনায় হয়তো সত্যের লেশ নাই , তারপরও বিশ্বাস এমন যুক্তি-তর্ক হাজির করে , যাকে অস্বীকার করা যায় না। অথবা কেউ কেউ সত্য এবঙ বিশ্বাসকে একই সমান্তরালে হাজির করেন যে যৌক্তিক পন্থার বালাই থাকে না।
আমরা যখন ঘটনা পরম্পরার সচল থাকি,তখন এই বিভাজনগুলোকে ব্যাখ্যার কোন কারন ঘটে না, তখনই যখন ব্যক্তি গড়পরতা একই আচরনে অভ্যস্ত। কিন্তু চুড়ান্তভাবে বোঝাপড়ায় যেতে কোথাও না কোথাও এই বিভাজনটা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে।
তখন তার পক্ষে এটাও জরুরী হয়ে উঠে, এ ঘটনা প্রবাহের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাটা কি? কারন পরিবর্তনশীলতার বিপরীতে গা ভাসানো কি সম্ভব। তাই যতটা সম্ভব উল্টে পাল্টে যে কোন কিছুকে দেখা উচিত।
নুন্যতম অর্থে সত্য বা জ্ঞান, কোন এক ধরনের সম্ভাবনা ছাড়া কিছুই নয়।
যখন আমরা কোন বাহাস করি তা কোন না কোন সুনির্দিষ্ট ডিসকোর্সের আওতায় হয়ে পড়ে। যেখানে যে কোন অর্থে বাহাসটায় গুরুত্বপূর্ণ।
তাই উপরের ভেতরে যায় না। এটা এত হাস্যকর যে প্রায়শঃ আমরা ক্যাটাগরীক্যাল মিসটেকে পড়ি। যেমন নাস্তিকরা বলে থাকেন আল্লাহ যদি থেকে থাকেন তাঁকে দেখা যায় না কেন? একই জায়গায় দাড়িয়ে আস্তিকরা হাস্যকর সব যুক্তি দান করেন। অথচ মোটেও আল্লাহকে দেখাদেখির কোন বিষয় এখানে নাই। কারন আল্লাহ শব্দ দিয়ে এমন কিছু নির্দেশ করা হয় যা দেখাদেখি বিষয় নয়।
বাহাস এমন কিছুতে হওয়া উচিত, যা বিশ্বাসের বিষয়কে সামনাসামনি নিয়ে আসে। যেমন- আস্তিকরা গদবাধাঁ বলে যাচ্ছেন ইসলাম (উদাহরন) শান্তির ধর্ম, এটা কেন? কোন অর্থে? অথবা আস্তিক, নাস্তিক'রা পরস্পরকে উদারভাবে বিশ্লেষন করেন না কেন?
হয় তারা নিজ নিজ বিশ্বাসে বুঁদ হয়ে আছেন অথবা তারা নিজ বিশ্বাস ভঙ্গ হবার ভয়ে ভীত থাকেন। এই বুঁদ হয়ে থাকা অথবা ভীত হওয়াই জ্ঞানের যাত্রাকে ভুল পথে নিয়ে যায়। আমার প্রিয় ব্যক্তিত্বদের একজন সোরেন কিয়েরকেগার্দ প্রকৃত খৃষ্টান হবার লোভে বলেছিলেন, চোখ বদ্ধ করে শূন্যতায় ঝাঁপ দাও।
সে অন্ধ বিশ্বাস আমার নাই,
ঝাঁপ দিতে চাই চোখ কান খোলা রেখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।