মুক্ত আকাশ দেখব বলে বয়ে চলা। আকাশ কেন মুক্ত হয় না।
দেশের কথা ভাবলেই বুকের ভিতরে জমে থাকা কষ্টগুলো মাথা নাড়া দিয়ে ওঠে। নবান্ন কিংবা বসন্ত বা ভালবাসার দিনে দেশের জন্য মন হাহাকার করে। নিরবে কষ্টগুলোকে পকেটে ঢুকিয়ে রাখি কিংবা মনের গহীনে মাটি চাপা দেই।
কাল ছিল ভালোবাসার দিন। এখানে আর ১০ টা দিনের মতোই। কিন্তু কোরিয়ান রীতি অনুযায়ী ভালোবাসার দিনে মেয়েরা ছেলেদের চকলেট দেয়। পরিচিত যে কোন মেয়ে যে কোন ছেলেকে। আমরা আশায় থাকি।
আমাদের ল্যাব এ ৬/৭ জন মেয়ে আছে। দুঃখের বিষয় এবার পড়েছে শনিবার। সবাই নিজেদের বাড়ি চলে গেছে। আর semester গ্যাপ। এবার আর চকলেট পাওয়া হল না।
আমাকে অবাক করে দিয়ে শুক্রবারে আমাদের ল্যাব এর একটা মেয়ে আমাদেরকে চকলেট দিল। ভালো লাগল। রাতে বাসায় ফিরে ব্লগের লেখা পড়ি আর দেশের কথা ভাবি আর এই দূর পরবাসে তারা গুনি আকাশে আকাশে। গভীর রাতে ঘুমুতে যাই। সকালে উঠি না।
দুপুর ২ টায় ঘুম ভাংগে পেটের ক্ষুধায়। সবজি খিচুরী আর ডিম ভাজি করি, সাথে আঁচার। ভালোবাসার দিনে কিছুই করার নেই। পেপার পড়ি নেট এ। সময় কাটে না।
আবার ঘুম।
বিকেল ৫টার দিকে বন্ধু শাওন ফোন করে। ডিনারের অফার পাই। সাথে ভাবী থাকবেন। অফারটা লুফে নিতেই হল।
৭টায় শাওন আর ভাবী এল, সাথে তার আমনুর (মালয়েশিয়ান) আর ননী (ইন্দুনেশিয়ান) নামের দুই বান্ধবী। কোরিয়ান বিবিমভাব (ভাত আর বিভিন্ন সবজি) খেলাম। তারপর হাঁটতে বেরুলাম। আইসক্রিম এর কথা এল।
আমরা গেলাম একটা আইসক্রিম সপে।
ঢুকেই আমি মুগ্ধ। এতো চমৎকার সপ আমি কম দেখেছি। সপের চারিদিকে সব আসন দোলানা করে বানানো। আইসক্রিম খাবে আর দোলনা খাবে। দেয়ালে সুন্দর সুন্দর ছবি টানানো।
আমার এতো কাছে অথচ আসিনি কোনাদিন। আমার মনটা ভাল হয়ে গেল বেশ। যদিও পাশে বসে অঝোর ধারায় কেঁদে চলা কোরিয়ান মেয়েটাকে দেখে কষ্ট লেগেছে (আজ সে তার বয়ফ্রেন্ডকে হারিয়েছে) তবুও দোলনায় বসে বসে আইসক্রিম খাওয়া, আড্ডা দেওয়া আমার এবারের ভালবাসার দিনটাকে সত্যিই অন্যরকম মাত্রা দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।