আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধূমপানে নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী যারা তাদের উদ্দেশ্যে.... (রিপোস্ট)

অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি

হকাররা বিক্রি করে এমন একটা চটি বইয়ে একবার বিশ্বের জানা-অজানা অনেক মজার মজার তথ্য পেয়েছিলাম। হকাররা সাধারণত নতুন নতুন আইডিয়া কিংবা আলোচিত বিষয় নিয়ে বই নিয়ে আসে। এটা তাদের ব্যবসার পলিসি। এক জিনিস মানুষ বেশি দিন খায় না। এজন্যেই তারা প্রতিনিয়ত ব্যতিক্রমী কিছু আনবার চেষ্টা করে ক্রেতার কাছে।

যাই হোক। অনেক দিন আগের সেই চটি বইটিতে নানা মজার তথ্যের একটি তথ্য তখন সবাইকে যুগপৎ অবাক আর হাসির খোরাক দিয়েছিল। যে কারণে বইটার কাটতিও ছিল বেশ ভালো। মজার সেই তথ্যটা হলো, পৃথিবীর দেশে দেশে সাধারণত নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকলেও ফ্রান্সে নাকি এর উল্টোটা ঘটে থাকে। সেখানে নাকি নারীরাই দল বেঁধে কোনো পুরুষকে অপহরণ করে এনে যৌন কামনা চরিতার্থ করে।

পুস্তিকার সেই তথ্যের কতটা ভিত্তি ছিল, তা আজো যাচাই করা হয় নি। তবে যে ব্যাপারটা উল্লেখ্য, তা হলো সেই তথ্যটি কিন্তু মানুষের কাছে স্বাভাবিক কিছু মনে হয় নি। পুরুষ ধর্ষণ করতে পারলে নারীরা পারবে না কেন- এ যুক্তি তুলে এই তথ্যের প্রতি মানুষের কৌতূহলও দমিয়ে রাখা যায় নি। দেখতাম গাড়িতে কিংবা পাবলিক প্লেসে হকার যখন বইটি বিক্রি করতে এসে বইয়ের এই তথ্যের জানান দিত, তখন অধিকাংশই বইটি না কিনলেও অন্তত একবার হাতে নিয়ে দেখে নিত যে, ব্যতিক্রমী এই ব্যাপারটা কোথায় ঘটে থাকে। এর অর্থ হলো, এমন কিছু কাজ নিশ্চয়ই রয়েছে যেগুলোর সম্পাদনে নারীকে দেখলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই একটু অবাক হই।

এই দৃষ্টিভঙ্গি কি নারী-পুরুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির অংশ? ফ্রান্সের নারীদের সেই তথ্যে অবাক হওয়া মানে কি পুরুষের ধর্ষণকে সমর্থন দেয়া? এই সামান্য বোধটুকুও নেই আমাদের এই ব্লগের একটি ব্লগার শ্রেণীর। নীলক্ষেত মোড়ে ধূমপায়ী এক তরুণীকে দেখে তা আমার কাছে কিছুটা ব্যতিক্রম মনে হয়েছিল। এ নিয়ে তাই একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। দিতেই পারি। ব্লগ তো অভিজ্ঞতা শেয়ার করারই জায়গা।

কিন্তু আমাকে যারা অপছন্দ করেন, তারা অযথাই সেই পোস্টটাকে বিতর্কিত করবার চেষ্টা করলেন। মাইনাস দেবার প্রচারণাও চালালেন জোরশোরে। সামহোয়্যারইন ব্লগে অসুস্থ ব্লগারের সংখ্যা এখন কম নয়। পোস্টের বিষয়বস্তু না দেখে রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনায় এখানে পোস্টে কমেন্ট কিংবা রেটিং দেয়ার রেওয়াজ তৈরি হয়েছে। কোনো একটি পোস্ট পছন্দ না হলে তার গঠনমূলক সমালোচনা করা যেতে পারে।

কিন্তু এখানে একটি শ্রেণীর কাছে গালাগালিই যেন প্রতিবাদের সবচে কার্যকর হাতিয়ার! সিগারেট খাওয়ায় যারা সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন আমার সেই পোস্টের মন্তব্যে, তাদের কেউ কেউ হয়তো ধূমপান করে থাকেন। অন্তত তাদের নিকটাত্মীয় এমন কেউ অবশ্যই থাকার কথা যিনি ধূমপান করেন। সেই ব্লগার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ, ধূমপানে সাম্য প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে আন্দোলন তৈরি করতে পারেন। কারণ, আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ আছেন যারা কিনা নারীদের ধূমপায়ী হিসেবে দেখলে খুব বেশি অবাক হন। অনেক ব্লগার বন্ধুই ধূমপানকে একটা অধিকার হিসেবে দেখাবার চেষ্টা করেছেন।

কেউ আবার এটাকে একটা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে চিত্রিত করতে চেয়েছেন। আলোচিত সেই পোস্টটিতে যারাই মাইনাস দিয়েছেন, তাদের সবাই ধূমপানে সাম্য প্রতিষ্ঠায় নব আন্দোলন শুরু করে নিজেদের খ্যাতিমান করতে পারেন। এছাড়াও ছেলেদের ক্ষেত্রে শুনতে তেমনটা শ্রুতিকটূ নয় কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে শুনতে শ্রুতিকটূ এমন আরো অনেক কাজে মেয়েদের এগিয়ে আসতেও উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, ছেলেদের গেঞ্জি খুলে পথে ঘাটে হাঁটা ইত্যাদি। আগের লেখাটির লিংক- Click This Link


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.