আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কুলে সরাসরি পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া অনেক কঠিন নয়

ভাবনার কথা

সব রকম প্রতিশ্রুত সময় পেরিয়ে গেছে, তবু পাওয়া যাচ্ছে না পড়ার বই। স্কুলের ছাত্রদের অসহায়ত্ব, অভিভাবকদের ক্ষোভ- কোন কিছুর পরোয়া না করে নির্বিকার আমাদের পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। সারা জানুয়ারি মাস জুড়ে তারা কেবল আশ্বাস দিয়েই গেল কিন্তু ফল হল না কিছুই। শুধু এ বছরই নয়, বেশ ক’বছর ধরেই এ কান্ড চলছে। সময়মত বই পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই।

শেষ পর্যন্ত বই পেতে পেতে গড়িয়ে যায় ফেব্রুয়ারি মাস। বই হাতে পেয়ে গেলে সারা বছরের নানান ব্যস্ততায় এ নিয়ে আর ভাবনা করার সময় মেলে না, আবার যন্ত্রণার পালা শুরু হয় পরের বছরের শুরুতে। এ এক চক্রের মধ্যে ফেঁসে গিয়েছি আমরা। একটু স্মরণ করে দেখি- গত পাঁচ-ছয় বছর ধরেই পাঠ্যবইয়ের সংকটের বিষয়টি সামনে আসছে। প্রতিবারই পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নানা অজুহাত দিচ্ছে।

সরকার সমস্যা সমাধানে প্রতিবারই কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। যারা বই ছাপানোর দায়িত্ব নিচ্ছে তারা বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। কিন্তু নিয়মিত এসব ঘটনার মধ্যে কখনই শোনা হল না পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অথবা সরকারগুলোর তরফ থেকে ভুল স্বীকার বা পরিস্থিতির মূল্যায়ন। সমস্যাকে ঠিকভাবে চি‎হ্নিত করে ভুক্তভোগী জনগণকে সেটা জানানো এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার কোন নজির নেই। জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও পাঠক্রম বোর্ড-কে বলা হয় পাঠ্যবই ছাপার ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মুদ্রন প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যতগুলো সংগঠন কাজ করে সেগুলোর মধ্যে এই পাঠ্যপুস্তক ও পাঠক্রম বোর্ড হল বৃহত্তম। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পর্যন্ত ছাত্রদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেয়ার দায়িত্ব তার। জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও পাঠক্রম বোর্ড মূলত চারটি দায়িত্ব পালন করার কথা- পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা ও উন্নয়ন, শিক্ষা সম্পর্কে জাতীয় মূল্যায়ন দাঁড় করানো, পাঠ্যবই প্রকাশ এবং পাঠ্যবই বিতরন। পাঠ্যক্রম এর কি কি উন্নয়ন তারা ঘটাতে পারছে সেটা একটা বড় বিতর্কের ব্যাপার। কিন্তু অন্যতম প্রধান দুটো কাজ বই প্রকাশ করে সারা দেশে সময়মত বিতরন করতে তারা যে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ তার কারণ ও সমাধানের পথ নিয়ে কোন আলোচনা আমরা শুনতে পাইনি।

কি হতে পারে সে কারণ? একটা সময় বই প্রকাশ ও বিতরনের সবটা কর্তৃত্ব বোর্ডের হাতে ছিল। সে সময়ও বই প্রকাশে দেরি হয়েছে, মুদ্রনে ভুল হয়েছে। তারপরে ২০০৩ সাল থেকে শুরু হল মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো ছাপানো ও বিতরন পর্যায়ক্রমে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রক্রিয়া। বোর্ড কেবল বইয়ের পান্ডুলিপি অনুমোদন করে দেয় তারপর তার পজিটিভটা তুলে দেয় বাছাই করা প্রকাশকদের হাতে। তুলনা করলে দেখা যাবে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পর থেকে বই প্রকাশে অনিয়ম আর দুর্নীতি বেড়েছে।

কতটা বেড়েছে? একটাই যে সরকারের প্রশাসনও আর এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পত্রিকাতেই এসেছে, কুমিল্লায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ক্রেতার বেশে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে গিয়ে দেখেছে বই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, সাথে নোট বই কেনার জন্য জোর করছে। প্রমান পেয়ে তারা যেই ব্যবস্থা নিতে গেলেন অমনি সব দোকানিরা এক হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখল। পরে বাড়তি পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দোকানিরা এরপর হয়রানির অভিযোগে শুরু করলেন ধর্মঘট।

খুচরা বিক্রেতারা বলেন পাইকারি বিক্রেতারা বই মজুদ করে ঝামেলা বাড়াচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, আসলে প্রকাশকরা ঠিতমত বই সরবরাহ করছেন না। প্রকাশকরা বলেন, বোর্ড চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের সংখ্যা বলে দিতে পারে না, বাড়তি বই ছাপানোরও অনুমতি দেয় না। বোর্ড বলে, প্রকাশকরা আগে থেকে চাহিদার কথা জানায় না। সবাই সবার দিকে আঙ্গুল তুলে যাচ্ছে।

সরকারের উদ্যোগে বই ছাপানো আর বিতরনের সাথে বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোগের পার্থক্য থাকেই। সরকারের উদ্যোগে হলে, বই ছাপিয়ে মুনাফা কত হচ্ছে সে প্রশ্ন প্রধান থাকে না। মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে বলতে পারে কোন ত্রুটির জন্য কোন পর্যায়ের কারা দায়ী। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। আর বেসরকারি পর্যায়ে ছেড়ে দেয়া মানে বাজারের নিয়মের ওপর ছেড়ে দেয়া।

বাজারের কাছে লাভ লোকসানের হিসেব সব কিছুর চেয়ে বড়। বইয়ের ব্যবসায় কত লাভ বের করে নিয়ে আসা যাবে সেটা নিয়ে চিন্তা থাকবেই। সরকারি টেন্ডারে দালান বানিয়ে দেয়া আর পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ বিবেচিত হয় একই মানদন্ডে। আর সরকারের তো দায়বদ্ধতা মুক্তবাজারের প্রতি। বাজারে হস্তক্ষেপ করাটাকে সে অনৈতিক মনে করে।

কিন্তু এনসিটিবি আগে নিজেই বই ছাপিয়ে নিজেই বিতরন করত; সেখান থেকে পরিকল্পনাটা পরিবর্তন হল কেন? সেটা কি এজন্য হয়েছে যে, হঠাৎ সরকারের মনে হল তার ভেতরের লোকজন সবাই অদক্ষ, এদের দিয়ে কাজ হবে না? যদি তাই হত, আমরা কিছু দৃষ্টান্ত দেখতে পেতাম। সরকারি দায়িত্ব অবহেলা করা মানে জনগণের টাকা অপচয় করা। আমরা তখন জানতে পারতাম দায়িত্বে অবহেলার কারণে কয়েকজন কর্মকর্তার প্রকাশ্যে বিচার হয়েছে। কিংবা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে। সেরকম কিছু কখনই হয়নি।

তার মানে সরকার নিজের ভেতরকার দক্ষতা অদক্ষতার বিচার না করেই ঠিক করেছে, বই ছাপানোর বা বিতরনের কাজটা সে তার হাতে রাখবে না। এটা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেবে। আর এই সিদ্ধান্তটাও সরকার একা মাথা খাটিয়ে নিতে পারল না। নিতে হল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর বিপুল অর্থায়নে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে জুড়ে দেয়া শর্ত পালন করতে গিয়ে। SESDP- সেকেন্ডারি এডুকেশন সেন্টার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।

এডিবি'র অর্থায়নে মাধ্যমিক শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে চালু এই কর্মসূচির মেয়াদ ২০০০-২০১০ সাল পর্যন্ত। এর ঘোষিত লক্ষ্য হচ্ছে- চাকরি বাজারের উপযোগী করে মাধ্যমিক শিক্ষাকে গড়ে তোলা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা হবে, তাদের কাজের গুণগত মান বাড়ানো হবে, শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল ধরনের সমতা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পে ৯২ জন বিদেশী পরামর্শক, ২১২ জন দেশী পরামর্শক এবং ১০ জন ব্যক্তিগত পরামর্শক নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরামর্শকদের মধ্যে ৪২ জন এর নেতৃত্বে আর তাদের অধীনে দেশীয়দের মধ্যে ৪৮ জনকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘এডুকেশন সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট’ দল।

এদের অন্যতম কাজ হল এনসিটিবি সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা হাজির করা। ১২ জনকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট এন্ড স্কুল বেইজড এসেসমেন্ট বিশেষজ্ঞ’ দল। এরা এনসিটিবি-কে পাঠক্রম উন্নয়নে ও ব্যবস্থাপনায় কাজ ঠিক করে দেবে। এখানে দেশীয় বিশেষজ্ঞ থাকবে ২৪ জন। মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যে সব কাজ জরুরী ভিত্তিতে করা দরকার বলে তারা মনে করেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল, পাঠ্যপুস্তকের প্রকাশনার কাজ পুরোপুরি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া।

এনসিটিবি’র ক্ষেত্রে বলা হল বই ছাপানোর কাজে সরকারি দপ্তরের এত মাথা ঘামনোর দরকার নেই। সে বরং পাঠ্যক্রম উন্নয়নের দিকে বেশি করে নজর দিক। তাই তার কাজের ক্ষেত্রকেও- মুদ্রন আর পাঠ্যক্রম- এ দু’ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ২০০৭ এর মধ্যে মাধ্যমিকের সব বই এর প্রকাশ বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ২০০৪ সাল থেকে। ২০০৩ সালে মনিরুজ্জামান শিক্ষা কমিশনের সুপারিশেও এ প্রস্তাবনা ছিল।

বাংলাদেশ সরকারও এরপরে এই প্রস্তাবনা গ্রহন করে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ধীরে ধীরে বইয়ের পান্ডুলিপি তৈরির কাজটাও তারা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে চান। বেসরকারি খাতে বই ছাপানোর কাজ ছেড়েও সরকার বইয়ের দাম কম রাখার জন্য কাগজে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক স্তরের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে ভাল কাগজ কিনে নিয়ে সেটা ভর্তুকি মূল্যে প্রকাশকদের দেয়া হয়। মাধ্যমিক স্তরের জন্য কাগজ কেনা হয় আমাদের কর্ণফুলি পেপার মিল থেকে।

সেটাও ভর্তূকি মূল্যেই দেয়া হয়। প্রতি বছর প্রায় ১৭ কোটি ৩০ লক্ষ বই খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে ছাপিয়ে সারা দেশে বিতরণ করা হয়। মুনাফা বাড়ানোর জন্য কিছু প্রকাশক ভাল কাগজটা বিক্রি করে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপায়। নিচু মানের কাগজে বই ছাপানোর অভিযোগ আছে লোহারপুল আর বাবুবাজারের মুদ্রক-প্রকাশকদের বিরুদ্ধে। এসব বই বিতরন করা হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেন ধরা না পড়ে।

খোদ চট্টগ্রামেও এধরনের বই বিক্রির প্রমান মিলেছে। অস্টম শ্রেণীর একটি বাংলা বইয়ের এনসিটিবি অনুমোদিত দাম ৩৯ টাকা; নিচুমানের কাগজে ছাপালে খরচ পড়ে মাত্র ১৭ টাকা। সরকার ভর্তুকি দেয় বইপ্রতি ৩৫.২০ টাকা। লাভের অংকটাকে আকাশছোঁয়া করার সব পথই এরা অনুসরন করে। এনসিটিবি’র চেয়ারম্যানও হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, মুনাফালোভী চক্রের হাত থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একটা পথই খোলা আছে; সেটা হল প্রাথমিক স্তরের মত মাধ্যমিক স্তরের বইও বিনামূল্যে বিতরন।

প্রস্তাব ভাল। কিন্তু সেটাও যদি বাজারে ওপর ছেড়ে দেয়া হয় তাহলেও সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ প্রাথমিক স্তরের বিনামূল্যে বিতরনের বইও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়। তারপর সেগুলো বিক্রি হতে দেখা যায় বেশি দামে। যদি সরকার ভেবে দেখত এনসিটিবিকে সত্যিকার অর্থে কার্যকরী করার তাহলে পরিস্থিতি অবশ্যই ভিন্ন হতে পারত।

অতীতের সকল ব্যর্থ কর্মকর্তা আর প্রকাশকদের প্রকাশ্যে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। প্রতি বছর বইয়ের চাহিদা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করতে হবে জুন মাস থেকে, বছরের শেষ তিন মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করার জন্য ফেলে রাখলে চলবে না। সারা দেশের স্কুলের তালিকা, প্রতিটি কাসে এবং সেকশনে ছাত্রদের তালিকা যোগাড় করাটা সরকারের জন্য এখন আর কোন দুঃসাধ্য ব্যাপার নয়। সরকার নিজের উদ্যোগে বই ছাপিয়ে যদি সরাসরি স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে তবে ছাত্ররা নির্ধারিত দামে স্কুল থেকেই বই সংগ্রহ করতে পারে নির্ঝঞ্ঝাটে। আর চেয়ারম্যান মহোদয়ের কথামত বই বিনামূল্যে পেলে তো কথাই নেই।

এটি খুব জটিল কোন প্রক্রিয়া নয়। স্কুলের শিক্ষকদের যুক্ত করে অনায়াসে এ কাজটি করা যায়। প্রয়োজনে সহায়তা নেয়া যেতে পারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের। বাজার অর্থনীতির নিয়মে চলতে গেলে শুনতে হবে বাজারের কথা। আর এ ব্যাপারে অভিভাবক হয়ে আছে সব ঋণদাতা সংস্থা।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এডিবি সবার মূল কথা একটাই। দেশের শিক্ষাসহ সব খাতে সংস্কার করতে হবে। আর সংস্কারের মোদ্দা কথাটাই হল বেসরকারিকরণ। তাদের কথা শুনে চলেছে স্বাধীন বাংলাদেশের সব সরকার। ফলে রাষ্ট্রীয় খাতগুলোকে শুকিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, তুলে দেয়া হয়েছে বেসরকারি খাতে।

সে খাতগুলোও আজ পর্যন্ত কোন সুফল আনতে পারেনি দেশের অর্থনীতিতে। সবচেয়ে করুণ কাহিনীটি রচিত হয়েছে আমাদের পাট শিল্পে। রাষ্ট্রকে সব কিছু থেকে দুরে রাখতে হবে বলার ফল আমেরিকা-ইউরোপ তার বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেখে যাচ্ছে। আর খাতটার নাম যখন ‘শিক্ষা’ তখন তার দিকে তো আলাদা করে মনযোগ দিতেই হবে। বিদেশী পরামর্শকদের কথা শুনে এ খাতটাকে বাজারের নিয়মের হাতে ছেড়ে দেয়ার সব কুফলই ফলতে শুরু করেছে।

যদি সত্যিকার অর্থে সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা, শিক্ষার প্রতি আন্তরিকতা থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দেশের সব নাগরিকের কাছে শিক্ষা পৌঁছানোর দায়িত্বটা বাজারে না ছেড়ে নিজের কাঁধে তুলে নিতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।