ঝুলন্ত খোলা লেট্রিনের নিচে ময়লা পড়ছে যেখানে সেখানে এই মহিলা থালা বাসন ধুচ্ছে। এই ছবিটির মতোই এখনো সুনামগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকার চিত্র। সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীতে ঝুলন্ত খোলা লেট্রিন কিংবা টয়লেটের পাইপের ময়লা যেখান দিয়ে বের হচ্ছে সেখানেই গোসল, থালাবাসন ধুয় শতশত মানুষ। আলাপকালে তারা জানায় চলন্ত পানিতে কোনো সমস্যা নাই। অথচ নদীর পানিতে এখন কোনো স্রোত নেই।
হাওরপাড়ের গ্রাম গুলোর চিত্র আরো ভয়াবহ। অবাক লাগে এই সেনিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রচুর এনজিও মাঠে ময়দান চষে বেড়াচ্ছে। তারা কি কাজ করছে সেটা দেখতে স্পটে গেলে কিছুই পাওয়া যাবেনা; যেতে হবে তাদের অফিসে । কাগজে কলমে আছে বাস্তবে নাই তাদের কর্মকান্ড। সুনামগঞ্জের ভাটি এলাকা বিশেষ করে জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার উপজেলার স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই নগন্য।
হাওর,নদী-নালা ও খাল বিল বেষ্ঠিত এসব গ্রামগুলোতে ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করায় এসব এলাকার মানুষের মধ্যে পানিবাহিত রোগ বালাই লেগেই থাকে সারা বছর। এসব উপজেলার হাসপাতালগুলোতে এধরনের রোগীর সংখ্যাই বেশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।