আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
সকালে এ্যানী, ইমা আর আমি মেলায় গিয়ে ছিলাম। যা একখান ঘটনা ই না ঘটল!! মেলা থেকে একটা চুড়ি কিনেছি।
অনেক দিনের সখ ছিল এরকম একটা চুড়ি কিনব। মেলায় গিয়ে পছন্দ হয়ে গেল এবং দামে মিলে গেল তাই কিনে ফেললাম। ঘটনাটা হল এ্যানী এক জোড়া কানের দুল কিনেছে। আমি দুলটা হাতে নিয়ে দেখার জন্য চুড়িটা ওর হাতে দিলাম। ও যে চুড়িটা কখন টেবিলের উপর রেখেছে তা খেয়াল ই করেনি।
দুল কেনার পর দোকান থেকে বের হয়ে গেলাম। দোকানিরা পেছন থেকে অনেকবার ডেকেছে কিন্তু ভাবলাম কাকে না কাকে ডাকছে! আশেপাশে আপা তো কতই আছে! ভাবলাম অন্য কাউকে ডাকছে। অনেক দূর আসার পর এ্যানীকে বললাম আমার চুড়ি দিতে। ওতো আকাশ থেকে পড়ল, বলল চুড়ি তো আমি তোকে দিয়ে দিছি। বুঝতে পারলাম চুড়িটা দোকানে রয়ে গেছে।
এত খারাপ লাগছিল বালার মত না। পিছে হাটা দিলাম দোকানটা খ্োজার জন্য। দোকান কি আর খুজে পাওয়া যায়! আর পাওয়া গেলেও যে চুড়িটা পাব তারও তো নিশ্চয়তা নাই। আমি হাল ছেড়ে দিলাম। এ্যনী বলল আর একটু খুজে দেখি।
আমার চেয়ে ওর চিন্তা মনে হয় বেশি ছিল। কারন চুড়িটা ওর হাতে ছিল। আর কিছু দূর যেতেই দোকানটা পেলাম। দোকানের বাইরে দাড়ানো ছেলেটা আমাদের দেখেই হাত ইশারা দিয়ে ডাকল এবং চুড়িটা দিল। চুড়িটা পেয়ে যে আমার কি আনন্দ লাগছিল বলার মত না।
যাই হোক সব মিলিয়ে মজাই হল। আবার ইনশাআল্লাহ মঙ্গলবার আম্মাকে নিয়ে যাব। আপনারা কেমন ঘুরলেন? কে কি বানিজ্য করলেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।