প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি
একদিন এই জন্মের সাথে প্রবল অভিমান করে, এই রক্তকে ঘৃনা করে, এই নিঃশ্বাস এবং প্রঃশ্বাসের সাথে তুমুল রাগ করে, কোদাল হাতে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে গটগট করে হাঁটা শুরু করে দিলাম, আমার জন্মের মাটি খুঁড়ে দেখবো বলে, যেতে যেতে একটি দেশ পেলাম, একটুখানি জিরোলাম, তারপর আবার হাঁটা, যেতে যেতে রোদ্র প্রখর হয়ে আসে, আবার হারিয়ে যায়, যেতে যেতে পথে আবার বাঘ ভাল্লুক দৈত্যদানো রাক্ষস, না-থামানোর মন্ত্র উচ্চারন করে হেঁটে যাই, কোদাল দিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে দিই - যারা যারা সম্মুখে এসেছে তাদের সবাইকে, মাটি পেয়ে যাই, কোদালের কোপ ফেলতেই খড়ং করে ধাতব আওয়াজ হয়, খুঁড়ার জন্য মাটি আর পাই না, মণি যেখানে আছে সেই স্থানটি খুঁজে পাই না, কাজেই আবার হাঁটা শুরু করি, কতকাল কতযুগ এভাবে জানিনা, অবশেষে কোদালের কোপ ফেলার মতো মাটি পেয়ে যাই, জল ছলছল করে চোখের কোণে, কোদালের একটি কোপ বসাই, চতুর্দিক উজ্জ্বল করা মুচকি হাসি...
একটি ভাঙা কোদাল ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে, তার চারপাশে ফুল আর ফুল। লোকজন আসছে আর শ্রদ্ধাঞ্জলী দিয়ে যাচ্ছে। আর সেখানে একজন বৃদ্ধাকে দেখা যায় একটি শিশুর কাছে কোদাল ভাঙার গল্পটি বয়ান করতে।
মুল গল্পঃ শুভাশীষ সমীর (বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় "পৌরি পত্রিকা" জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।