জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার জন্য যেই অধ্যাদেশ করে তাতে উপজেলা পরিষদে সাংসদদের কর্তৃত্ব করার বিষয়টি নেই। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সাংসদদের কাজ আইন প্রণয়ন। তাদের কাজ নয় স্থানীয় সরকার চালানো। তাদের কাজ নয়, স্থানীয় সরকারের কাজ করা। তাদের কাজ নয়, স্থানীয় সরকারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা।
অতীতে আমরা দেখেছি, সাংসদরা স্থানীয় পর্যায়ে তার দল বা বাহিনী গোছাতে ও প্রতিপালন করতে স্থানীয় টেন্ডারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। টেন্ডারবাজিতে সক্রিয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে তিনি তার চামচা ও সহযোগীদের টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের ধুয়া তুলে তিনি ও তার সহযোগীরা লুটপাট করেছেন। উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু তার চেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে একটি রাস্তার উন্নয়নের কথা ধরি।
একটি রাস্তা নির্মাণে টেন্ডার কে পাবে তার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এমপি সাহেব। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি তার আত্মীয় স্বজন, চামচা বাহিনীদের সুবিধা করে দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি মোটা অংকের দুনম্বরী আয় করেছেন। টেন্ডার পেয়ে তার সহযোগীরা রাস্তা বানিয়েছে এত নিম্মমানের যে মাস ছয়েকের মধ্যে সেই রাস্তা চলাচল উপযোগী থাকেনি। এভাবে জনগণে মূল্যবান টেক্সের টাকা লুটপাট হয়েছে দিনের পর দিন।
বর্তমান সরকার উপজেলা পরিষদে সাংসদদের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দিতে চান। তাহলে আর উপজেলা পরিষদ করে লাভ কী ? উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা যদি সাংসদকে জী হুজুর করেই চলতে হয়, তবে উপজেলার সুফল জনগণ পাবে না। আবারও শুরু হবে দুর্নীতির মহোৎসব।
কোনভাবেই উপজেলা পরিষদের সাংসদদের কর্তৃত্ব করার সুযোগ দেয়া যাবে না। তাহলে স্থানীয় সরকার স্থবির হয়ে যাবে।
যার যা কাজ তা তাদের করতে দিন, সেই কাজ করার ক্ষমতা দিন, সেই কাজের জবাবদিহিতা করার সংস্কৃতি চালু করুন। কিন্তু তাই বলে যেটা যার কাজ না, তাকে সেখানে ব্যস্ত রেখে অনর্থক অরাজকতা সৃষ্টি করবেন না। দুর্নীতি করার সুযোগ দেবেন না। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
নিউজ এখানে
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) অধ্যাদেশ, ২০০৮
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।