কত ক্ষয়!
ইউনেস্কোর পর এবার জাতিসংঘও একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিল। গত ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো প্রথম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতিদেয়।
গতকাল রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পররাষ্ট্র দফতর শান্তির জন্য সংস্কৃতি শীর্ষক একটি রেজুলেশন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে তুলে ধরে। ভারত, জাপান, সৌদি আরব, কাতারসহ বিশে^র ১২৪টি দেশ এই রেজুলেশনটি
সমর্থন করে।
এই রেজুলেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে এবং শান্তির জন্য সংস্কৃতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংস্কৃতির সংলাপকে উৎসাহিত করতে মাতৃভাষাগুলোর অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী সমকালকে বলেন, সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির জন্য সংস্কৃতি শীর্ষক রেজুলেশন গ্রহণের মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘ। মাসের পর মাস ধরে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমরা খুশি যে, এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে শান্তির জন্য সংস্কৃতির ওপর একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘে।
তিনি বলেন, এ বছরের ফেব্রুয়ারির আগে এই রেজুলেশনটি পাস করানোর প্রতিশ্রুতি আমাদের ছিল।
আমি আনন্দিত যে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি। একুশের চেতনা এখন জাতিসংঘের ভেতরে প্রবেশ করেছে এবং এর চেয়ে খুশির বিষয় আর হতে পারে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।