আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবুও ইচ্ছে করে আহমাদিনেজাদ হয়ে যাই

জীবনের গল্প বলে যাই গল্পের মতো করে...

অফুরান প্রাণশক্তির ইরানী প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজান প্রায়ই হুট হাট করে মন্তব্য করে বসেন। তার কিছু কিছু কথা কখনও-সখনও আমার কাছে স্রেফ ফালতু কথা মনে হয়। একজন রাষ্ট্রনায়কের অবস্থান থেকে এমন কথা কখনই প্রত্যাশিত নয়। সেকারণে তাকে আমার ঠিক পছন্দ নয়। যেমনটা পছন্দ হয়নি মিডিয়ার সামনে প্রথমদিনেই করা আমাদের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রির কথা।

ইদানিং টেলিভিশন অন করাটাই হয়ে গেছে সাংঘাতিক সাহসী একটা কাজ। কারণ যে চ্যানেলের সংবাদই দেখুন সম্প্র্রতিক সময়ে ইসরাইলের মধ্য যুগীয় আচর চোখে সওয়ার জন্য আলাদা মানসিক শক্তির দরকার। আমার হয়তো সেটা নেই তাই আন্তর্জাতিক সংবাদ এলেই পালিয়ে যাওয়ার জন্য মনের ভেতর দুর্বল আমিটা গাইগুই শুরু করে। কিন্তু তারপরও পালানো হয় না। কোথা থেকে আরেকটা আমি আমাকে রীতিমতো নির্যাতন করে বাধ্য করে ইসরাইলী হামলার শেষ খবরটা জেনে নিতে।

আমি অবাক হয়ে ভীত চোখে দেখি ইসরাইলী পশুরা কেমন নির্দয়ের মতো নির্বিচারে হত্যা করে চলেছে ফিলিস্তিনী নিরীহ সাধারণ মানুষদের। তাদের লাশের সংখ্যা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে পাষন্ড ইসরাইলীদের নির্যাতনের পৈশাচীক পন্থাগুলো। হামাস নিধনের নামে তারা কেবল ফিলিস্থিনী সাধারণ মানুষদের হত্যা করছে না। সেই সাথে হত্যা করে চলেছে অসহায় নারী আর শিশুদের। গত সপ্তাহে গাজার একটি ভবনে ১১০ ফিলিস্তিনিকে জড়ো করে ওপর থেকে বোমা ফেলে তাদের হত্যা করেছে ইসরাইল।

এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ছিল ৩০ জন। ইরাক কুয়েত আক্রমণ করেছিল সেকারণে মধ্যপ্রাচ্যে কি তুলকালাম কান্ড বাধিয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। অথচ পুরো বিশ্বের চোখের সামনে সভ্যতার মুখে কালিমা ছিটিয়ে ইসরাইল নামের ছোট্ট একটা দেশ প্রতিদিন গঠিয়ে চলেছে একের পর এক নরকীয় কর্মকান্ড। অথচ কেউ কিছু বলছে না। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ১৪-০ ভোটে যুদ্ধ বিরতির একটি প্রস্তাব পাশ করায় যেখানে আমেরিকা উপস্থিত না থেকে পক্ষান্তরে ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে।

সেজন্যই হয়তো ইসরায়েল নাচক করে দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব। আর তাই এখন কারও কিছু করার যেন নেই কেবল চোখের সামনে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখা ছাড়া। ধিক্কার দেই সেই আধুনিক সভ্যতাকে। ধিক্কার জাতিসংঘকে, ধিক্কার যুক্তরাষ্ট্র সহ প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের। তাদের উদ্দেশ্যে আমার অক্ষম থুথু নিক্ষেপ ছাড়া কিছু করার নেই।

হয়তো অনেকেই আমার এই ইচ্ছার সাথে একমত হতে চাইবেন না। কিন্তু তবুও বলি। এই রকম পরিস্তিতিতে এই একটা কথাই আমার মনে হয় ঘুরে ফিরে, ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজান বলেছিলেন, প্রয়োজনে ইসরায়েল নামের রাস্ট্রকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হবে। তখন কথাটা শুনে তার প্রতি আমি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছিলাম। আর ইদানিং আমার আহমেদিনেজান হয়ে যেতে ভিষণ ইচ্ছে হয়।

ঠিকই তো। দরকার কি এই বর্বর জাতীর পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকার। ইস্‌ যদি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।