[প্রথমেই
বলে রাখি ঘটনাটা কলেজে থাকতে আমাদের
একজন
ম্যাডাম শুনিয়েছিলেন আর সেই ম্যাডাম
আমাদের
কলেজে আসার আগে ভিকারুন্নিসা স্কুল এণ্ড
কলেজের
শিক্ষক ছিলেন ।
একদিন কোন
একটা সহশিক্ষা কার্যক্রমে আমরা ছেলেরা তেমন
উত্সাহী না থাকায় দায়িত্বটা মেয়েদের
কাঁধেচাপাতে বলছিলাম
লেডিস ফার্স্ট ,লেডিস ফার্স্ট ।
এতে মেয়েরা খুশি হয়েছিল
আর আনফরচুনেটলি ম্যাডাম সেখানে ছিলেন
। পরে ক্লাশে এই
ঘটনাটা আমাদেরকে বলেন]
"অনেক দিন আগে এক ছেলে আর
একমেয়ে গভীর
প্রেমে আবদ্ধ হয়েছিল ।
তারা একে অপরকে এমনই গভীর
ভালবাসে যে তারা একসাথে বাঁচতে পারে আবার
একসাথে মরতে পারে ।
এরমাঝে একদিন মেয়েটার
বাবা মা তাকে অন্য এক জায়গায়
বিয়ে ঠিক করে ফেলল । মেয়েটা যখন তার
বাবা মা কে জানালো যে সে অপর
একটা ছেলেকে ভালোবাসে এবং তাকেই
সে বিয়ে করবে ,তখন
বাবা মা তাকে বলল -তাহলে ঐ
ছেলেটাকে নিয়ে তুই
দেশান্তরিত হবি এবং আমাদের সামনে আর
কোনদিন
আসবি না । আমরা তোর
নামে একটা স্মৃতিস্তম্ভ
তৈরি করে সবাইকে বলব
যে তুইমারা গেছিস । আর
যদি এখানে থাকতে চাস তো আগেআমাদের
মেরে ফেলে তারপর
যা করার করবি ।
এহেন কথাবার্তায় মেয়েটা তখন পড়ল উভয়
সংকটে ।
একদিকে বাবা-মা আর একদিকে প্রেমিক ।
কি করবে সে ?
অবশেষে সে কথাগুলো ছেলেটিকে জানাল ।
ছেলেটি প্রস্তাব দিল -চল
আমরা একসাথে আত্মহত্যা করি ।
মেয়েটি প্রস্তাবে সম্মতি দিল । তো কথামত
তারা একটা উঁচু
পাহাড়ে উঠলো ।
লাফিয়ে পড়ে তারা আত্মহত্যা করবে ।
ছেলেটা মেয়েটাকে বিদায় চুম্বন
দিয়ে বলল -"তুমি আমার
আগে মারা যাবে এটা হতে পারেনা"
বলেই সে লাফ দিল এবং পরে মারা গেল ।
মেয়েটা লাফ
দিবে তখন তার মাথায়
একটা কুবুদ্ধি খেলে গেল- ছেলেটাত
মারাই গেছে । তাহলে ?
অতপর সে তার বাবা মার কাছে ফিরে গেল
এবং তাদের পছন্দ
করা ছেলেটাকে বিয়ে করল ।
এরপর থেকে ছেলেরা কোন
কাজে মেয়েদেরকে আগে পাঠাত
যাতে পরে সে সটকে পরতে না পারে আর
প্রতিষ্ঠিত হল লেডিস
ফার্স্ট কথাটা ।
"
গল্প বলা শেষ করে ম্যাডাম
মেয়েদেরকে বললেন - এখন বুঝছ
লেডিস ফার্স্ট কথাটা মেয়েদের
বিশ্বাসঘাতকতা আর
অবিশ্বস্ততার প্রতীক । এরপরও এই কথায়
তোমরা খুশি হবে ?
তখন তাদের মুখখানা দেখার মতছিল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।