ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি
গত কয়েক বছর ধইরাই ফ্ল্যাট বাড়ির হাঙ্কি পাঙ্কিগো লগে থাকতাছি। বিখাউজ গুলার গুণ কীর্তন করতে মঞ্চায়। দুনিয়ার সবচাইতে বদমাইশ আর ইবলিশ বিচ্ছু গুলা আমগোর এনে থাহে; ওগো কুখ্যাতি পুরা বিল্ডিং জুইরা। কিছু নমুনা কই।
আমি ফ্ল্যাটে উডনের আগেই, আমার শখের নকশা করা দুয়ারটা ধারাইল্যা ছুরি দিয়া আচড়াইয়া নষ্ট কইরা আমারে ওয়েলকাম করছে।
পুরা বাড়ির ওয়াল হইলো গিয়া ওগো জুতা দিয়া মহৎ শিল্পকর্ম আকনের বিরাট ক্যানভাস। কমন ইসপেসের সবডি বাত্তিরে বহুত আগেই ইন্নালিল্লাহ করায়ছে । লিফটের মধ্যে এসতেনজা (মুতু)করা ওগো আরেকটা প্রিয় কাম, মনে অয় তরলের অভিকর্ষ বল টেরাই করে।
মুরুব্বীগোর লগে পলাপলি খেলা আবার আমগো সোনার টুকরারা খুব ইনজয় করে। মানে বিভি্ন্ন ফ্ল্যাটে কলিংবেল টিপা দৌড় মারে।
আমরা বেকুব মুরুব্বীরা দরজা খুইলা বেক্কল অইয়া খাড়ায় থায়ি। কিন্তু ঠিকই হেগো দাত কেলাইন্যা অদৃশ্য হাসি শুনতে পাই আর হাদা হইয়া ওগো আনন্দ বাড়াই। কেউ যদি নেমপ্লেট লাগায় ওইডার অস্তিত্ব আর খুইজা পাওয়া যাইবো না।
কিছুদিন আগের কতা কই আমার দরজায় সাত তালার এক রিটায়ার্ড পুলিশের এক পাওয়ের জুতা ঝুলায় রাখছে, আরেকটা ঝুলায়ছে তিন তালার অন্য এক ফ্ল্যাটের দরজায়। বেচারা বহুত খুজাখুজি কইরা পরে আমার বাসায় আসে।
আরেকজনের ফ্ল্যাটের দরজায় শুনছি ব্রা ঝুলায় রাখছিল। পুলাপানের হায়াত আছে এই মাত্র উইঠা দরজা খুইলা আবারো ভোদাই হইয়া আইলাম।
এইবার হরলিক্স জিনিয়াসগো মায়ের কতা কই। আমগো এই ভাবীছাবরা আবার বিভিন্ন ক্লাসে ক্লাসিফাইড। চাকরিজিবী ভাবীছাবগো সংখ্যা কম।
তারা নিজের চরকায়ই তেল দিয়া কুল পায় না। আর পরের চরকায় তেল দেওনের পবিত্র দায়িত্ব পালন করে খাটি গৃহিনী ভাবীছাবেরা। তিনারা পরচর্চা, পরনিন্দা,পুলাপানের মাষ্টার, কাজের মেয়ে, নিজেদের জায়গা সম্পত্তির গপ্প, এইসব ব্যাপারে গোল টেবিল বৈঠক চালায়।
ভাবীছাবেরা পুলাপান সহ হিন্দি সিরিয়াল দেখে আর দীর্ঘশ্বাস ফালায় কেমনে নায়িকাগোর মত ফিগার বানান যায়। কিন্তু খাইতে বইলে আর হুশ থাকে না।
কেউ কেউ প্রতিজ্ঞা কইরা হাটাহাটি শুরু করে। কিন্তু নিজেগোর গপ্পের ঠেলায় হাটা আর আগায় না। ভাবীগোও আর শুকান হয় না। আপসুস। আরেক ভাবী আছেন, ফাতুনের বাপ তারে কত ভালবাসে সেই গপ্প শুনায়া আরাম পায়।
এক হুজুর ভাবী আছে(জামাতী)। তাইনে ঘরে ঘরে বইসা ইসলামিক মাহফিল করেন, বালা বালা কতা কয়,খানাপিনা করেন কিন্তু নিজের ঘরে সহজে মাহফিল বসান না আর কারো ভাল কিছু হুনলেই তানার মুকটা কালা অইয়া যায়,খুত বাইর করনের আপ্রান চেষ্টা চালায়। কিছু ভাবী আছে, বড়লোক কিন্তু কিপটা জামাইর অত্যাচারে জাজরি অইয়া গেছে। এরা সবসময়ই শাড়ী গয়না গাড়ী ফার্নিচার আর ইলেকট্রনিক জিনিসের লাইগা আপসুসে থাকে। কয়েক জন আছে যারা খালি আত্মীয়গো ফুটানি মারে।
কথায় কথায় কইবো আমার অমুক আত্মীয় ডিআইজি তমুক আত্মীয় সচিব........।
হিঙ্কি পিঙ্কি মাইয়াগো অভাব নাই বিল্ডিংয়ে। লিফটে এগো টাইট জিন্সের পাছার দিকে বাপের বয়সী বুড়ারা চাইয়া থাকে আর কয় পুরুষরা কেমনে ঠিক থাকে
ভাবীগো জামাইরা মানে ভাইয়েরা সব একেকটা টেকার মেশিন। তারা বউগো কিটি পার্টির লগে গভীর ভাবে জড়িত থাকে কিন্তু ভাব দেখায় কিছুই জানেনা, কারন হেরা বেডা মানুষ। ইসলামপুরের কাপড়ের ব্যাবসায়ীর তে শুরু কইরা,ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার এইট পাশ এমপি সব কিছিমের কুতুবই এনো থাহে।
উনারা কম্পিটিশন দিয়া খালি দামী গাড়ী কিনে। কে কত বড় লোক হের প্যারামিটার অইলো কার ফ্ল্যাটে কয়ডা এসি চলে, কার ফ্ল্যাটে কয়ডা ফ্রিজ আছে,কার ফ্ল্যাটে কত দামী সোফা আর কেডা কত পয়সা ডাইল্লা ফ্ল্যাট সাজায়ছে। ২/১ জন আছে যারা ইউরোপ আমেরিকা ঘুরতে যায় আর বিদেশী বেডিগো লগে কেমনে চুমাচুমি করছে সেই গল্প শুনায়।
মসজিদ ঘরে একটা ৩০/৩২ বছরের ইমাম আছে। হের কাম অইলো প্রত্যেক মাসে নতুন বিয়া করা বউয়ের টানে বাড়ীত যাওয়া।
আর বেচারীরে গর্ভবতী কইরা আসা। এই পর্যন্ত এক বছরে তিনবার করছে। তিনবারই বাচ্চা টিকে নাই। তো হের কাম অইলো বিবিসাবগো দেকলে জিগান "আপনের শরীলটা বালা আছেনি। " আর লোভী চোখে মহিলাগো শইল্যের দিকে চাইয়া থাকা।
ওর চোখ যে কাপড় ভেদ কইরা শইল্যে যাইয়া ঠেকে তা বেশ বুজা যায়।
বেটা পাক্কা শিকারী। ওর শিকার অইলো রুই কাতলা ফ্ল্যাট মালিকরা। কোনমতে স্যারেগো যদি ওর ফুপা কাম পীরের মুরিদ বানান যায় ব্যাস নো চিন্তা। কব্জি ডুবায়া বড় মাছের পেটি,মুরগি খাসীর বিরিয়ানী, এমন দাওয়াততো সপ্তায় দুই তিনডা এই বাড়ীতে হ্যার লাইগ্যা বান্ধা থাহেই।
হের লগে থাহে হাজার হাজার লাখ লাখ টাকার নজরানা। ওনাগো কাম অইলো বিচ্ছু গুলারে জ্বীন মুক্ত করা। স্যারগো ব্যাবসায় আয় উন্নতি কইরা দেওয়া আর বিবিসাবগো লাইগা, স্যাররা যাতে পরকীয়া বন্ধ করে হেই ব্যাবস্হা করা। পীরের ঢাকা কুমিল্লায় বাড়ী,মাদ্রাসা,এতিমখানা আরো কি কি আছে। বছরে কয়েক বার হজ্ব ওমরা করেন,বউ ঝিগোর শরীর ভরা সোনার গহনা।
সবই রুই কাতলাগোর কল্যানে।
ল্যান্ড ওনার বা জমির মালিকের পোলাপানের মাতব্বরীতে টিকা যায় না। ওরা অহনও নিজেগোরে মনে করে বাড়ীওয়ালা আর বাকী ফ্ল্যাট মালিকরা সব ওগো ভাড়াটিয়া। সব বিষয়ে ওগো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বড় দুঃখে আছি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।