ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
টার্মিনেটরের দ্বিতীয় পর্বের ধারণা অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে জাজমেন্ট ডে আসে নাই, পারমাণবিক যুদ্ধও শুরু হয় নাই। সে সময় সারা কনর আর অন্যরা মিলে সাইবারডাইন সিস্টেমস ধ্বংস সহ যে কাজগুলো করেছিলো তার কারণেই স্কাইনেটের তৈরি পিছিয়ে গিয়েছিলো।
তার পরও জন কনর বিশ্বাস করতো যে, ভবিষ্যত কোনোভাবেই সম্পূর্ণ এড়ানো যাবে না। নিরাপত্তার জন্য তাই সে বাস করতো অনেকখানি লুকিয়ে। সে রাখতোনা কোনো স্থায়ী আবাস, কোনো ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ফোন।
যেন সেগুলো দিয়ে তাকে সনাক্ত করা না যায়।
জন কনরকে খুন করার জন্য স্কাইনেট আরেকটা টার্মিনেটর পাঠায়। তরুণীর ছদ্মবেশে আসা টি-এক্স মডেলের এ টার্মিনেটর আগের চেয়ে আরো উন্নত মডেলের। এর আছে আগের তুলনায় উন্নত অস্ত্র আর যন্ত্রপাতিকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা।
অন্যদিকে জন কনর আর তার স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য তাদের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রোগ্রাম করে অতীতে পাঠানো হয় অন্য একজন টার্মিনেটরকে।
এ টার্মিনেটরই আবার ২০৩২ সালে জনকে খুন করেছিলো।
মটর সাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট করে জন যখন আহত হয়ে দোকান থেকে ওষুধ চুরি করছে তখন তার হবু স্ক্রীর সাথে দেখা হয়। তাদেরকে টার্মিনেটর প্রাথমিক হামলা থেকে বাচিয়ে নিয়ে যায় জনের মা সারা কনরের কফিনে। যেখানে তার সত্যিকার কফিন নেই। আছে অস্ত্র।
তাদের হত্যা করার জন্য সেখানেও হাজির হয় হত্যাকারী টি-এক্স। বহু কষ্টে জীবণ বাঁচাতে হয় তাদের।
টার্মিনেটর ২ তে সাইবারডাইন সিস্টেমস ধ্বংস হবার পর আমেরিকার এয়ার ফোর্স স্কাইনেট প্রজেক্টকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রবার্ট ব্রিউস্টারের তত্ত্বাবধানে দিয়েছিলো। যিনি ছিলেন কেটের বাবা।
স্কাইনেটের চালু করার ঘটনাটা বেশ নাটকীয়।
কম্পিউটারের নতুন একটা সুপারভাইরাসের আক্রমণ বন্ধ করার জন্যই স্কাইনেটকে চালু করা হয়। জন তখনো স্কাইনেট বন্ধ করার চেষ্টা করে। স্কাইনেটের কেন্দ্রে গিয়ে সে ধ্বংস করতে চায় কম্পিউটারটিকে। কেটের বাবা রবার্ট ব্রিউস্টার তাদের বলেন সিয়েরা নেভাদা পাহাড়ের ক্রিস্টাল পিকে যেতে।
নানা ঘটনার পর তারা সেখানে গিয়ে পৌছানোর পর স্কাইনেটের কোনো কিছুই খুজে পায় না।
তারা আবিষ্কার করে যে এটি আসলে স্কাইনেটের কোনো কিছু নয়। বরঞ্চ এটি হচ্ছে ভিআইপিদের জন্য পারমাণবিক যুদ্ধের সময় নিরাপদে লুকিয়ে থাকার স্থান। জেনারেল ব্রিউস্টার তার মেয়ে আর জনকে সেখানে পাঠিয়েছেন তারা যেন আসন্ন পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পারে।
স্কাইনেটের এ আক্রমণের জন্য অন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না। অন্য কারো অনুপস্থিতিতে তাই খুব সহজেই জন কনর সেখানে দায়িত্ব গ্রহণ করে।
যুদ্ধ শুরু হয়.....
------------------------------------------
তৃতীয় পর্বে এসে কাহিনী অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বলেই মনে হয়।
এবারের চরিত্রগুলো তেমন আবেদন তৈরি করতে পারে নাই। আর জন কনরের দায়িত্ব গ্রহণ করাটাও অনেকের কাছে তেমন বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। তারপরও সায়েন্স ফিকশন মুভি হিসেবে এ সিরিজটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়।
[টার্মিনেটর-৩ শেষ। টার্মিনেটর-৪ এখনো মুক্তি পায়নি]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।