সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় বনদস্যু ও জলদস্যুদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। বিশেষত সুন্দরবনের ৬০৭৩ বর্গমিটার এলাকায় তাদের দাপট কিছুতেই কমছে না। উপকূল ভাগের নিরাপত্তা জোরদার করতে গঠন করা হয়েছে কোস্টগার্ড। র্যাবও দস্যুতা দমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তারপরও উপকূলীয় জলসীমায় মাছ শিকাররত জেলেদের জীবনের নিরাপত্তা নেই।
প্রায়ই তাদের আটক করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ না পেলে আটক জেলেদের হত্যা করা হয় নৃশংসভাবে। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রায়ই নিহত হচ্ছে জলদস্যু ও বনদস্যু দলের সদস্যরা। ২০০৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বন ও জলদস্যু বাহিনীর ১৩ দলনেতাসহ ৫৪ জন নিহত হওয়া সত্ত্বেও থামেনি তাদের অপতৎপরতা। বনদস্যু ও জলদস্যুদের হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় তাদের দমন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সুন্দরবন ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে গত বছর ১২৬৬ জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সব অপহরণ বা মুক্তিপণ আদায়ের তথ্য পেঁৗছায় না বলে মনে করা হয়। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া, কাটেশ্বর ও কোবাডাক, খুলনা রেঞ্জের কয়রা, খাসীটানা, জয়সিং, বজবজা, শংকরবাড়িয়া, বেদকাশি, চাইপাই রেঞ্জের জংড়া, ভদ্রা, হরিণটানা, চাঁদপাই, নন্দবালা, আন্দারমানিক এবং বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের তীরছড়া, কটকা, শেলারচর, নারকেলবাড়িয়া ও নীলবাড়িয়া এলাকা বনদস্যু-জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। দস্যুতা রোধে গত ফেব্রুয়ারিতে দুবলারচরে ক্যাম্প স্থাপন করে র্যাব সদস্যরা। এর ফলে দস্যুদের দৌরাত্দ্য কমলেও পাকা স্থাপনা না থাকায় অস্ত্র গোলাবারুদ রক্ষার তাগিদে গত ১৫ জুলাই ক্যাম্পটি তুলে নেওয়া হয়।
গত আগস্টে এ এলাকা থেকে অপহৃত হয় ৯০ জেলে। সুন্দরবন ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় দস্যুতা বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শক্তিশালী ক্যাম্প নির্মাণসহ দস্যুদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদারেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।