ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
ভয়ংকর এক পারমাণবিক যুদ্ধে পৃথিবীর তিন বিলিয়ন মানুষ মারা যায়। অবশিষ্ট জীবিত মানুষেরা মুখোমুখি হয় আর এক দুঃস্বপ্নের মাঝে। যে দুঃস্বপ্নের নাম মেশিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যে যুদ্ধে মানবপক্ষের নেতা ছিলো মি. জন কনর। অন্যদিকে খুনী যন্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণে ছিলো স্কাইনেট নামের সুপার কম্পিউটার।
জন কনরকে খুন করার জন্য স্কাইনেট দুজন টার্মিনেটরকে টাইম মেশিনে করে অতীতে পাঠিয়েছিলো। প্রথম টার্মিনেটরটা জন কনরের জন্ম হবার আগেই তার মাকে খুন করতে গিয়েছিলো। সে টার্মিনেটর ব্যর্থ হয়েছিলো (প্রথম পর্বে বিস্তারিত দেখুন)।
জন কনরকে হত্যা করার জন্য দ্বিতীয় টার্মিনেটর আসে সে যখন শিশু। এ সময়ই মানব পক্ষ থেকেও তাকে রক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় একজন রক্ষাকারী।
কাইল রিসের মাধ্যমে জন কনরের মা আগেই জেনে গিয়েছিলো এ তথ্যগুলো। তাই সারা স্কাইনেটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাইবারডাইন সিস্টেমসে হামলা চালিয়েছিলো। তবে সফল হয় নাই।
সারা জানে তার সন্তান জন কনরকে হত্যা করার জন্য টার্মিনেটর আসবে যে কোনো মুহূর্তে। এ সব কথা সবাইকে বলার চেষ্টা করায় সারাকে সবাই পাগল মনে করে।
ফলে তার ঠাঁই হয় এক মানসিক হাসপাতালে। আর সারার সন্তান জন কনরকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করে অন্য এক দম্পতি।
ছোট জন কনর খুবই ডানপিটে স্বভাবের। দত্তক বাবা মায়ের কোনো কথাই শুনেনা সে। সারা দিন বন্ধুদের সাথে বাইরে ঘুরে বেড়ায় আর নানা রকমের দুষ্টমি করে।
এমন এক সময়ে এ শহরে আসে জন কনরের হ্ত্যাকারী টার্মিনেটর। প্রায় একই সময়ে তাকে রক্ষা করার জন্য এসে হাজির হয় অন্য এক রবোট। এবারের হত্যাকারী রবোট আগেরটার চেয়ে উন্নত সংস্করণের। যে কোনো বেশ ধরতে পারে সে। আর রক্ষাকারী রবোট আগের মডেলের।
টার্মিনেটর ১ এর হত্যাকারী রবোটটিকেই নতুন করে প্রোগ্রামিং করে বানানো হয়েছে।
হত্যাকারী রবোট জনকে খুজতে থাকে হত্যা করার জন্য। অন্যদিকে রক্ষাকারী রবোট খুজতে থাকে রক্ষা করার জন্য। এদিকে জন বাসা থেকে পালিয়ে ভিডিও গেমস খেলতে গেছে। এমনই এক সময় জনকে মাঝখানে রেখে হত্যাকারী আর রক্ষাকারীর দেখা হয়।
শুরু হয় উভয় পক্ষের টানটান উত্তেজনার রোমহর্ষক যুদ্ধ।
সারা মানসিক হাসপাতাল থেকে পালায়। এরপর সেখানকার বিজ্ঞানী মি. ডাইসনকে বোঝাতে সক্ষম হয় স্কাইনেটের এহেন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। তারা মি. ডাইসনকে নিয়ে আবার যায় স্কাইনেটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাইবারডাইন সিস্টেমসে। উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানে রক্ষিত স্কাইনেটের বিভিন্ন কাগজপত্র, আগের (টার্মিনেটরের প্রথম পর্ব) টার্মিনেটরের যান্ত্রিক হাত আর চিপ ধ্বংস করা।
তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে নতুন মডেলের টার্মিনেটর। অন্যদিকে জন আর সারার সঙ্গে আছে পুরনো মডেলের। অবশিষ্ট অংশ সিনেমা না দেখলে বোঝা যাবে না....
স্কাইনেটের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার জন্য তাদের টার্মিনেটরের উন্নত চিপ আর প্রযুক্তি যে কোনো মূল্যে ধ্বংস করতে হবে। তাই বিদায় নিতে হয় তাদের সাহায্যকারীকেও.....
[টার্মিনেটর ২ এখানে শেষ। পরে পর্ব টার্মিনেটর ৩]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।