আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় মুভি: দি টার্মিনেটর (১)

ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
টাইম মেশিনে করে লস অ্যাঞ্জেলসে এসে নামে এক ভয়ঙ্কর লোক (আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার)। পোশাক সংগ্রহ করা, অস্ত্র সংগ্রহ করা এসব কার্যকলাপেই বোঝা যায় ভয়ঙ্কর এক খুনী সে। এসেছে এক স্পেশাল মিশনে। কথায় কথায় খুন করা তার জন্য খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। একই সময়ে পৃথিবীতে টাইম মেশিনে এসে নামে কাইল রিস (মাইকেল বেইন) নামে এক যুবক।

প্রাথমিক আচার আচরণে তাকে খুনী শোয়ার্জনেগারের মতো মনে হয় না। গলির ভেতর পুলিশের তাড়া খেয়ে অতি নিপুণভাবে পালায় সে। এক ফাকে পুলিশের গাড়ি থেকে অস্ত্রও চুরি করে করে। সে কিন্তু ভবিষ্যতের ভয়ঙ্কর যুদ্ধের একজন অতি দক্ষ যোদ্ধা। এ তরুণও এসেছে এক স্পেশাল মিশনে।

তবে তার মিশন খুন করা নয়- রক্ষা করা। এ শহরের টেলিফোন ডিরেক্টরিতে তিনজন সারা কনরের নাম ছিলো। ভয়ংকর খুনীটা এই তালিকা দেখে শহরের সারা কনর নামের সবাইকে খুন করতে থাকে। সে নিষ্ঠুরভাবে খুন করতে সক্ষম হয় প্রথম ও দ্বিতীয় সারাকে। তৃতীয় সারা তখনো খুন হয়নি।

টেলিফোন ডিরেক্টরিতে দেখে সারা বুঝতে পারে তার নামের আগের দুইজন খুন হয়ে গেছে। এবার তার পালা। তাই খুন হবার আগেই সতর্ক হয়ে যায় সে। কিন্তু ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর খুনীটা সারার বাসায় গিয়ে তার বান্ধবীকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করে। সারা বুঝতে পারে তাকে কেউ একজন অনুসরণ করছে।

একটা ক্লাবে গিয়ে লুকায় সে। এ সময় ভয়ঙ্কর খুনীটাও সেখানে উপস্থিত হয়। সারাকে খুন করার জন্য পিস্তল তাক করে। কিন্তু গুলি করার আগেই পেছন থেকে খুনীটাকে আক্রমণ করে কাইল রিস। কাইল রিস এসেছে সারার জীবন রক্ষা করতে।

কোনোরকমে পালিয়ে জীবন বাঁচায় কাইল ও সারা। এরপর দুজনে পালিয়ে যায় দূরে। কাইল খুলে বলে সারাকে তার মিশনের একমাত্র লক্ষ্যের কথা। যেটা হচ্ছে, সারার জীবন রক্ষা করা। সারা ব্যাপারটা বুঝতে পারে না।

কেন সারাকে খুন করার জন্য ওই ভয়ঙ্কর খুনীটার আগমন আর কেনই বা তাকে রক্ষা করার জন্য কাইল রিসের আগমন? কাইল রিস তখন সারাকে বর্ণনা করে, ভবিষ্যত পৃথিবীর মানুষ বনাম মেশিনের ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধের কথা। কাইল জানায়, সারাকে যে খুন করতে এসেছে সে হচ্ছে টার্মিনেটর। স্কাইনেট হচ্ছে একটা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম যার নির্মাতা সাইবারডাইন সিস্টেমস। কিছুদিন পরে স্কাইনেট দখল করে নিবে সেনাবাহিনীর পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রগুলোকে। আর সেগুলো ব্যবহার করবে মানুষের বিরুদ্ধে।

টার্মিনেটরগুলো স্কাইনেটেরই আবিষ্কার। স্কাইনেটই ভবিষ্যতে পৃথিবীকে কন্ট্রোল করবে আর কিছু মানুষকে দাস শ্রমিক হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে, মেশিন যেসব কাজ করতে পারেনা সেগুলো করার জন্য। এ অবস্থায় সারার ছেলে জন কনর দাস মানুষগুলোকে সংগঠিত করবে এবং মেশিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। সে যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মানুষের জয় হবে। জয়লাভের মূল কারণ মানব পক্ষের নেতা মি. জন কনরের কুশলী পরিচালনা।

জন কনর হচ্ছে সারার ভবিষ্যৎ সন্তান। যে সন্তানের এখনো জন্ম হয়নি। যুদ্ধে পরাজিত শক্তি মরিয়া হয়ে নতুন এক বুদ্ধি বের করেছে। তারা জন কনরের মা সারাকে হত্যা করার জন্য টাইম মেশিনে করে ভয়ঙ্কর খুনী টার্মিনেটর পাঠিয়েছে। খুনীটার তাড়ার মুখে সারাকে নিয়ে কাইল রিস নানা জায়গায় পালিয়ে যায়।

একসময় পুলিশের হাতেও ধরা পড়ে। তারা কিন্তু সারাকে খুন করার জন্য খুনীটা আক্রমণ করে পুলিশ স্টেশন। এক সুযোগে কাইল আবার সারাকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ভয়ঙ্কর খুনী টার্মিনেটরটা অনেক উন্নত বুদ্ধির আর বেশ শক্তিশালী। সাধারণ গোলাগুলি দিয়ে একে মারা অসম্ভব।

তাই তার হাত থেকে বাঁচতে কাইল আর সারা পালিয়ে বেড়ায় বিভিন্ন জায়গায়। এক পর্যায়ে কাইল আর খুনীটার প্রবল যুদ্ধ হয়। খুনীটার আক্রমণের মুখে কাইল মারা যায়। কিন্তু কাইলের বোমার আঘাতে খুনীটারও শেষ অবস্থা উপস্থিত হয়। কাইল মারা যাবার পর সারা শেষ পর্যন্ত খুনী টার্মিনেটরকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়।

সারার গর্ভে তখন তার সন্তান জন কনর। সারা কি পারবে নিজের আর তার সন্তানের জীবন রক্ষা করতে? (দি টার্মিনেটর পর্ব এখানেই শেষ। পরের পর্ব টার্মিনেটর ২)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.