২৯শে ডিসেম্বর নির্বাচন। ভোটের হাওয়ায় এখন পুরো দেশ। দলগুলোও নির্বাচন প্রচারণায় ব্যস্ত। তারা বিভিন্ন জায়গায় মহা-সমাবেশ করছেন। ভাষণ দিচ্ছেন।
টিভি কিংবা পেপার-পত্রিকাতে বক্তব্যও পড়ছি। নির্বাচনী অঙ্গীকার করছেন জনগণের সামনে। হ্যান কারেঙ্গা....তেন কারেঙ্গা.........
মাগার কুচ ভি নেহি কারেঙ্গা..........
এমনই অবস্থা হবে তা আমি মোটামুটি বলতে পারি। যেই গুণগত পরিবর্তন রাজনীতিতে আমরা আশা করছিলাম আল্টিমেটলি তার কিছুই হয়নি। এই সরকারের পদত্যাগী এক উপদেষ্টা ব্যারিষ্টর মাঈনুল হোসেন বলেছিলেন, এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে পুরো পরিবর্তনটা ভেস্তে যাবে।
পুরো সিস্টেম আবার ভেঙে পড়বে। দেশটা সেই পূর্বের অবস্থাটাতে গিয়েই পৌছাবে।
বিতর্কিত এই উপদেষ্টার কথাটা খুব মনে পড়ছে। তার কথাই যেনো লেগে গেলো। সরকারের সমস্ত উদ্যোগ ভেস্তে গেলো।
দেশকে আমি সেই পূর্বের অবস্থাতেই দেখতে পাচ্ছি।
রাজনীতিবিদরা পরিবর্তনের কথা বলেন। কিন্তু কিসের পরিবর্তন তারা করলেন!
কেউ রাজাকারদের সাথে জোট করলেন কেউ দূর্নীতিবাজ এরশাদের সাথে জোট করলেন। তাহলে পরিবর্তনটা কোথায়! অবস্থাটা এমন- নতুন বোতলে পুরোনো মদ।
এরশাদ আজকে দেখলাম কোথায় যেনো জনসভায় বলছেন, আমি হাসিনার বড় ভাই।
আমরা ভাই বোন মিলে এই দেশটাকে দূর্নিতীমুক্ত করে গড়ে তুলবো।
এই বিষয়ে আমার কিছুই বলার নাই। উলঙ্গ রাজনীতির এই সব কথা শুনলে এখন হাসি পায়। দুঃখও হয় সেই সব বোকা মানুষগুলোর জন্য যারা এই সব কথা শুনে শ্লোগানে মুখরিত করে রাখেন।
আবার খালেদা জিয়া বিভিন্ন জায়গায় ভাষণে বলেন, জিয়ার মুক্তযু্দ্ধের চেতনায় আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।
তিনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলবার কথা বলেন রাজাকারকে সাথে রেখে। এর চেয়ে উলঙ্গতা আর কিই বা হতে পারে।
তারপরও নির্বাচন করতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া এই মুহূর্তে আমাদের উপায় নেই। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য দরকার নির্বাচন।
তারপর আবার তাদের হাউকাউ শুরু হবে তাও আমরা জানি।
তারপরও ভোট দিতে হবে।
এবার ৩১% নতুন ভোটার। নতুন প্রজন্মের ভোটার। আমিও আছি সেই ৩১% এর মধ্যে।
এই নতুন ভোটাররা খুবই কনফিউজ নির্বাচন নিয়ে। আমি যাদের সাথেই কথা বলেছি সবাই একি কথা, কাকে ভোট দিবো!! বুঝতে পারছি না। দুই জোটই দূষিত। একজন সৈরশাসককে সঙ্গে নিয়ে দূষিত হয়েছে আরেকজন রাজাকারকে সাথে নিয়ে।
তাই, অনেকে চিন্তা করছে "না" ভোটের।
তবে "না" ভোটে একটা সামরিক গন্ধ পাওয়া যায়। তাই "না" কেও "না"।
ভোট নিয়ে ভাবতে গেলেই এখন কনফিউশানে পড়ে যাই। কাকে ভোট দেবো। এমন নেতৃত্বতো নেই যারা বিপ্লব ঘটিয়ে পরিবর্তন করে ফেলবে।
বিপ্লব করবেই বা কিভাবে। আমাদের রাজনীতিবিদরা তো ফিদেল ক্যাস্ট্রো কিংবা চেগুয়েভারা না।
আমাদের রাজনীতিবিদরা তো শুধু রাজার হালতে থাকার জন্য রাজনীতি করে। তাই ওরা বিপ্লব করে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।