হাজারটা স্বপ্ন একটি বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না
সেকালের বাঘা কমিউনিস্ট পার্টি দশ-বারো জনের সমাবেশে মাইক-ব্যানার-ফেস্টুন সহযোগে হুংকার দিয়ে বেড়ায়।
বিপ্লব আর আসে না।
তেভাগার সেই বৃদ্ধ চাষী দেখে ফসল সব মাঠের উপর-ই জ্বল্ব-পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। বাজারে নেবার জন্য গাড়ি নেই, আজ অবরোধ।
বিপ্লব আর আসে না।
দেশের মানুষের-ই ছুড়ে মারা আগুনে বোমায় জ্বলন্ত মৃত্যু হয় কত কত মানুষের।
বিপ্লব আর আসে না।
জনগণের টাকায় প্রহসনের নির্বাচন চলে সাজ সাজ রবে। সেই নির্বাচন নিয়েও আবার চলে জল্পণা-কল্পণা।
বিপ্লব আর আসে না।
দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের দেশে শীতের সময়ও চলে লোডসেডিং। শেয়ার বাজারেও মার খায় বিনিয়োগ-কারী, পথের ফকির হয়, আত্নহত্যা করে। গরীবের টাকা যায় ধণকুবেরের পকেটে।
বিপ্লব আর আসে না।
শিক্ষার নামে চলে অবাধ দূর্নীতি।
আবার শিক্ষকদের উপর চলে বন্যপশুর মত নির্যাতন।
বিপ্লব আর আসে না।
তরুণ প্রজন্ম ভুলে যায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মনগড়া ইতিহাসে গা ভাসিয়ে মেধাবী মুখগুলো। সেকালের স্বাধীনতা-বিরোধীরা এখন স্বাধীনতা রক্ষার ভাগাম্ভর শোনায় প্রতিনিয়ত।
বিপ্লব আর আসে না।
অনলাইনে বসে দেশ উদ্ধারে নামে একদল মোহাবিষ্ট যুবক। আর স্বার্থাণ্বেষীদের হাতে কাঠপুতুলে পরিণত হয়।
বিপ্লব আর আসে না।
শ্রমিকের রক্ত হয়ে উঠে টেলিভিশনের অনুভূতি-ব্যাবসায়ীদের মূল্যবান অনুভূতি।
বিপ্লব তবু আসে না।
একখানি বইয়ের চেয়ে মূল্যবান আরো হয়ে উঠে বাজারের নষ্ট পেয়াজ। মেধাবী মাথাগুলো টাকার বিনিময়ে পাচার হয় সাম্রাজ্যবাদীর কাছে। আর বাকিরা দেশের মানুষের কাছেই গাল খেয়ে যায় অবিরাম।
বিপ্লব আর আসে না।
দেশের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে উঠে ব্যাংক ঋণ আর র্যামিটেন্স। ভার্সিটি পাশ করা ছেলেগুলো জীবিকার তাগিদে সুদের কারবারকেই বেছে নেয় শেষমেশ।
বিপ্লব আর আসে না।
জনগণ তখনো গোল্ড লিফ কিংবা স্টারের ধুয়া ছেড়ে উড়িয়ে দিতে চায় সবকিছু।
বিপ্লব আর আসে না।
বিপ্লব আর আসবে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।