...
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়ার আগে আগে মনে হল কয়েকটা কাজ করা হয়নি। অতি সত্বর সেগুলো শেষ করা উচিত। যে কাজগুলো সম্পন্ন না করেই আমি বাইরের দুনিয়ায় পা দিচ্ছি তার মধ্যে গাজা সেবন একটি।
খুব ইচ্ছে হল গাজা খাই। ছোটবেলা থেকেই আমার কেন জানি ধারনা ছিল প্রেমে ছ্যাক খাওয়ার পর গাজা অতি অত্যাবশকীয় খাদ্যদ্রব্য।
তাই বুয়েটে ঢুকে ভাবলাম আগে ছ্যাক খেয়ে নেই পরে গাজা খাওয়া যাবে। প্রসংগক্রমে জানিয়ে রাখি আমি "সিগারেট পর্যন্ত খাই না" ধরনের নিপাট ভদ্র ছেলে।
গাজা খাওয়ার অলিখিত নিয়মগুলোর ভিতর প্রথম নিয়ম হল গাজা খেতে হবে দল বেধে। সুতুরাং খোজ নেয়া হল দোস্তদের কে কে গাজা খায়। খুব সহজেই খুজে পাওয়া গেল একজনকে।
আমি যেহেতু সিগারেট খাই না তাই ভাবলাম সরাসরি গাজায় প্রমোশনে ঝামেলা হতে পারে। দোস্তকে জিজ্ঞেস করলাম খামু? কোন ঝামেলা হবে ? সে যদিও নতুন নতুন গাজা খাওয়া শুরু করেছে সে খুবই আত্মবিশ্বাসী। "এইটা কোন ব্যাপারই না। "
এইখানে আমার দোস্তর কাহিনী একটু বলে রাখা দরকার। বুয়েটে আমাদের ব্যাচে যে কয়টা ছেলে ছিল তাদের ভিতর নিঃসন্দেহে সে একজন রত্ন।
মেধায় আর চিন্তাভাবনায় সে খুবই অগ্রসর এবং সত্যিকারের জিনিয়াসদের একজন। ( আমি বুয়েটের যে তিন চারজনকে জিনিয়াস বলে স্বীকার করি তাদের ভিতর সে একজন। )
যাই হোক আমার দোস্ত গাজা খাওয়া শুরু করছে ছ্যাক্ খেয়ে। সে এমনিতে খুবই ঠান্ডা মাথার ছেলে। আগু-পিছু ভেবে যেকোন কাজ করে।
শেষ বর্ষে এসে এক ব্যাচ জুনিয়র একটা মেয়েকে তার খুব পছন্দ হয়ে গেছে। কথায় কথায় সেটা আবার বলেও ফেলেছে। সাথে সাথে পোলা-পাইন শুরু করছে উৎসাহ দেয়া।
এইধরনের ছেলেদের প্রেমে পড়া বা না পড়ার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা থাকে তার বন্ধুদের। ছেলেদের প্রবল উৎসাহ আর প্ররোচনায় সে খুবই সাহস পেল, তার বুক ভরে এল আত্মবিশ্বাস।
আর ফুলানো বুকেই সাহসে ভর করেই একদিন মেয়েটার সাথে দেখা করতে গেল। হাতে করে নিয়ে গেল গোলাপ ফুল।
ঠিক কি কথা বলেছে তারা দুইজন আর কোন কথাটা বলা হয়নি সেটা আমি জানি না। আমার দোস্ত কিছুই বলেনি। কিন্তু এর কিছুদিন পর থেকেই তার নিয়মিত গাজা খাওয়া শুরু হল।
আমি দোস্তকে অনুরোধ করলাম গাজা কিনে নিয়ে আয়। আমিও অবশ্য জানি কোথায় গাজা পাওয়া যায়। তারপরও আমি গাজা কিনতে খুব একটা সাহস পেলাম না। এরচে ভালো দোস্ত কিনে নিয়ে আসুক গাজা।
যথাসময়ে সে গাজা কিনে নিয়ে এল।
আমার রুমেই গাজা খাওয়া হবে বলে ঠিক করলাম। আমরা কয়েকজন আছি রুমে। সবাই গাজা খাব। দোস্ত গাজা খাওয়ার প্রাক-প্রস্তুতি শেষ করল। যতই গাজায় টান দেবার সময় চলে আসতে লাগল আমার গাজা খাওয়ার ইচ্ছে তত কমে আসতে লাগল।
দোস্ত যেভাবে দক্ষতার সাথে রোল করছিল তাতে আমি শিওর যে সে এই ব্যাপারে ভালোই দক্ষতা অর্জন করেছে।
সে গাজায় বেশ ভালোই টান দিল। আমার ছোটভাইটাও টান দিল। কাশল। তার খুব একটা ভালো লাগছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।