জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
এইবার সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে থাকবে না-ভোট দেয়ার সুবিধা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো না-ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। না-ভোটের সুবিধাগুলো হল -
১. কোন প্রার্থীকে পছন্দ না হলে নিশ্চিন্তে না-ভোট দেয়া যাবে। অপছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য হতে হবে না।
২. যেই আসনের মোট ভোটের ৫০ ভাগের বেশি ভোট না-ভোট হলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন হবে।
৩. পুনরায় যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আগের কোন প্রার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৪. না-ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের প্রার্থী পছন্দ করার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই প্রথম ভোটারা যে প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে, সেই মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হয়েছে।
আর যে কারণে আমি না-ভোট দেয়ার পক্ষে -
১. সেই পুরোনো চোরদের ভোট দিয়া আর নিজেকে বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ করতে চাই না।
২. একজন দুর্নীতিবাজকে ভোট দেয়া মানে সে যা দুর্নীতি করবে, তার দায়ভাগ আমারও।
এই দায়ভাগ নিতে চাই না।
৩. একজন মাস্তানকে ভোট দেয়া মানে সে যত মাস্তানি করবে, তার দায়ভাগ আমারও। এসব মাস্তানির দায়ভাগ আমি গ্রহণ করতে চাই না।
৪. মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে শিল্পপতি অরাজনৈতক ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়ার বিরুদ্ধে একটি শক্ত প্রতিবাদের ভাষা না-ভোট।
৫. যারা আগে ক্ষমতায় এসে লুটপাট করেছে, তারা যে আবারও লুটপাট করবে, সেটা দুধের বাচ্চাও বোঝে।
সুতরাং তাদের আবারও লুটপাটের সুযোগ দিতে চাই না।
৬. কমপক্ষে একটি আসনে না-ভোট জিতে গেলে এবং পুনরায় ভোট হলে দুর্নীতিবাজরা সচেতন ভোটারদের কাছ থেকে একটি ভালো সংকেত পাবে। তারা প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের বাদ দেবে।
৭. এতকালের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি মোক্ষম প্রতিবাদ না-ভোট।
৮. এত কালের অত্যাচার, অনাচার, ভোট বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদ না-ভোট।
৯. আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা ক্ষমতায় এসে ব্যালট থেকে না-ভোট বাদ দেবে। তাই প্রথম সুযোগটি কাজে লাগাতে চাই।
১০. যতদিন পর্যন্ত যোগ্য ও সৎ প্রার্থী না পাব, ততদিন পর্যন্ত না-ভোট দিয়ে যেতেই থাকব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।