দেশের বিভিন্ন বাজারে ১১ ব্রান্ডের ভেজাল মিশ্রিত ঘি বিক্রি করা হচ্ছে। শতকরা হিসেবে এর পরিমাণ ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ সকল ঘি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সস্তা দামের তেল (ভেজিটেবল অয়েল), সেদ্ধ আলু পশুর চর্বির সঙ্গে রং ও সুগন্ধি। বিক্রেতারা ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যবহার করে মনোলোভা নাম, এবং খাটি পণ্যের গ্যারান্টি। ভেজাল মিশ্রিত ১১ ব্রান্ডের ঘি প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- নিউ বাঘাবাড়ি, জননী স্পেশাল গাওয়া ঘি, মির্জা মুশ্বের এন্ড কোম্পানি, বাঘাবাড়ি পিওর গাওয়া ঘি, এম এম এইচ মাল্টি কেমিক্যাল লিঃ, অনীল বাঘাবাড়ি স্পেশাল, জুয়েল ফুড প্রডাক্টস এস কে ঘোষ, ভাই ভাই ফুড প্রোডাক্টস, মিল্ক ভিটা, স্কয়ার কনজুমার প্রডাক্টস।
বিএসটিআই এবং জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় এ ভেজাল প্রমানিত হয়েছে। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় অবস্থিত ক্যাব (কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ক্যাব’র তথ্য ও গবেষণা বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার এমদাদ হোসেন মালেক। এ সময় ক্যাবের সভাপতি দৈনিক জনকন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক বোরহান আহমেদ, সাধারন সম্পাদক কাজী ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারনত ঘি তৈরিতে গরু, ছাগল বা মহিষের দুধ ব্যবহার করার কথা থাকলেও এ সকল ঘি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সস্তাদামের তেল সুগন্ধি এবং রং।
ঘি’তে দানাদার দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয় সেদ্ধ আলু। এ সকল ভেজাল মিশ্রিত ঘি মানবদেহের কিডনি অচল করতে পারে এবং ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত করতে পারে। (দৈনিক আমাদের সময়, ৭/১২/০৮)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।