অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বহুদেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করা ছাড়াও সরাসরি যুদ্ধও করেছিল। এদের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নাম সবারই জানা। তবে অনেকের কাছে অজানাই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতি যুবকদের অংশগ্রহণ।
১৯৬২ সালে ভারতের সঙ্গে চীনের যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধে অবস্থান পাকা পোক্ত করতে ভারত সরকার তিব্বতি যুবকদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রবেশ ঘটায়। তিব্বতি যুবকদের দিয়ে গঠিত বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছিল এসএফএফ বা বিশেষ সিমাšরী বাহিনী। বাংলদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাবেক একজন জেনারেলের নেতৃত্বে প্রশিতি প্রায় ৩ হাজার তিব্বতি যুবককে ভারত এবং তৎকালীন পর্ব পাকি¯ান সীমাšে (দেমাগেরি) জড়ো করা হয়। সীমাšের অপর প্রাš পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে বুলগেরিয়ার তৈরি অ্যাসেল্ট রাইফেলে সজ্জিত এসএফএফ বাহিনীকে।
পাকি¯ানি বাহিনীর বিপে গেরিলা যুদ্ধ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। দেমাগেরি থেকে ছোট ছোট নৌকায় তিব্বতি যুবকেরা পর্ব পাকি¯ানে প্রবেশ করে। এর পর তারা পাকি¯ানের ¯েক্সশাল সার্ভিসেস ব্যাটালিয়নের বিপে যুদ্ধ করে একটির পর একটি সেনা চৌকি দখল করতে থাকে। আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার প্রায় ৩ সপ্তাহ আগেই এই এসএফএফ বাহিনী বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। তারা অপ্রতিরধ্য গতিতে দ্রুত অগ্রসর হয়।
আর ১৬ ডিসেম্ভরের মধ্যেই তারা চট্টগ্রাম বন্দরের খুব নিকটে আসতে সম হয়। তারা সাফল্যের সঙ্গে রাইফেল ও ছোরা ব্যবহার করে পাকি¯ানি বিগ্রেডের পথ আটকে দেয় এবং পাকি¯ানি বাহিনী আÍসমর্পনের পর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। ওই সময় প্রায় ৪৯ জন তিব্বতি যুবক নিহত হয়েছিল। পৃথিবীর মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছিল নতুন দেশ বাংলাদেশ। তবে বাংলার বিজয়ের তিব্বতিদের মত অনেক বাহিনী এখনো অজানা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পরিপর্ণ করার জন্য তিব্বতিদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইতিহাসের মত আরো অনেক অজানা কাহিনী নিয়ে গবেষণা করা দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।