প্রয়াত এ লেখককে স্মরণ করে দোকান সাজিয়েছেন কয়েকজন প্রকাশক।
বই বিক্রেতারাও বলছেন, হুমায়ুন আহমেদের নতুন কোন বই বের না হলেও তার পুরনো বইগুলোই বিক্রি হচ্ছে।
অন্যপ্রকাশের দোকানের দেখা গেলো পাঠকের ভীড়। এর অধিকাংশই খুঁজছেন হুমায়ূন আহমেদের বই। দোকানটির সাজ সজ্জাতেও হুমায়ুনের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
হলুদ ব্যানারের মধ্যে একটি জানালা আর সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে হুমায়ুন আহমেদের একটি পোট্রেট, যেন এখুনি জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসবেন তিনি।
প্রকাশনা সংস্থাটির প্রেস কো-অরডিনেটর মোজাম্মেল হক শিশির বলেন, “স্যারের একশ'রও বেশি বই আমরা প্রকাশ করেছি। এবছর পুরানো বইগুলোরই কয়েকটি সংকলন করা হয়েছে। এর মধ্যে হিমু ১০ ও রচনাবলী ৭ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। রচনাবলী ৮ ও ৯ কয়েকদিনের মধ্যে মেলায় আসবে।
“অনেকে আগে তার বই কিনতে পারেন নি। এখন সংগ্রহ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। ”
কাকলী প্রকাশনীর দোকানের মূল ব্যানারেই রয়েছে হুমায়ুন আহমেদের একটি পোট্রেট। আর দোকানের ভেতরে একটি দেয়ালে রয়েছে এ প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত লেখকের বইয়ের একটি তালিকা।
কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী এ কে নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, “গত দুদিনে যা বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তারই বই।
”
প্রকাশনা সংস্থাটি থেকে হুমায়ুন আহমেদের ৩৩টি বই প্রকাশ হয়েছে। সংকলন ছাপানো হয়েছে আটটি।
একই উত্তর পাওয়া যায় অন্বেষা প্রকাশনীর ব্যাবস্থাপক আনোয়ার হোসেনের কাছেও।
“স্যারের বই আগেও বেশি বিক্রি হতো। তিনি নেই, তারপরেও এখনো হচ্ছে।
”
অন্বেষা থেকে হুমায়ুন আহমেদের প্রকাশিত বই রয়েছে ২৩টি। আর সংকলন রয়েছে পাঁচটি।
অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ফারুক আহমেদ জানান, তার প্রকাশিত বই ৩৪টি এবং সংকলন ১২টি।
৩য় দিনের বই
অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩য় দিন মেলায় এসেছে ৬০টি নতুন বই। এর মধ্যে রয়েছে গল্প-৮টি, উপন্যাস-৯টি, প্রবন্ধ-৫টি, কবিতা-১৩টি, ছড়া-২টি, জীবনী-১টি, রচনাবলী-১টি, মুক্তিযুদ্ধ-৪টি, ভ্রমণ-৬টি, রম্য/ধাঁধা-১টি, ধর্মীয়-৩টি, অনুবাদ-১ এবং অন্যান্য-৬টি।
মূলমঞ্চের আয়োজন
বিকেলে মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় 'মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবদুস সবুর খান। আলোচনায় অংশ নেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, আমিনুর রহমান সুলতান এবং এ এস এম বোরহান উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
প্রাবন্ধিক আবদুস সবুর খান বলেন, “মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ বাঙালি মুসলিম জাগরণের এক অবিস্মরণীয় যুগপুরুষ।
বাংলার ভাষা-সাহিত্যের গবেষণায় যেমন তিনি অবদান রেখেছেন তেমনি সমকালীন রাজনীতিক আন্দোলন ও বঙ্গীয় মুসলমানের আধুনিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও তিনি এক বিশিষ্ট নাম। ”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “দেশবিভাগ পূর্বকালের বৃহৎ বাংলাকে বুঝতে হলে মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁকে অনিবার্যভাবে স্মরণ করতে হবে। ”
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ঝর্ণা আলমগীর, হায়দার হোসেন, আজগর আলীম, খগেন্দ্রনাথ সরকার, সরদার মো. রহমাতুল্লা, রহিমা খাতুন, শেখ হেমায়েত, রুশিয়া খানম, এ. এস. এম. জহিরুল হক চৌধুরী, মো. আবদুল আলিম এবং রিংকু।
বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন দিপক কুমার দাস, হোসেন আলী (বাঁশি), এস.এম. রেজা বাবু (ঢোল), মোকাদ্দেস আলী (দোতারা), নাজমুল আলম খান (মন্দিরা) এবং মো. মোবারক হোসেন (ঢোলক)।
পরের দিনের অনুষ্ঠান
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে মমতাজুর রহমান তরফদারের 'ইতিহাস চর্চায় একাল ভাবনা'- শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পারভীন হাসান। আলোচনায় অংশ নিবেন ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাইফুদ্দীন চৌধুরী, এ কে এম শাহনাওয়াজ এবং মোহাম্মদ সেলিম। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক অজয় রায়।
সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।