সকল অন্ধকারের হোক অবসান
ফেলুদা কিংবা কাকাবাবু, বেশী হলে ঘনাদা, টেনিদা...ব্যাস..শেষ। আর ওরকম চরিত্র বাংলা সাহিত্যে দেখা যায় না। বাংলাদেশে সত্যি কথা বলতে সেরকমভাবে কিশোর সাহিত্য গড়েই ওঠেনি।
বাইরে যেমন ফেমাস ফাইভ কিংবা হালের হ্যারি পটার। আমাদের দেশে কোথায় সেই রকম দেশজ চরিত্র যা হয়ে উঠতে পারে তুলনীয়? হ্যাঁ, সেবা প্রকাশনীর লেখকরা চেষ্টা করেছেন কিশোরদের পাঠ-ক্ষুধা মেটানোর কিন্তু সেগুলোর সবই বিদেশী কাহিনীর অনুবাদ অথবা ছায়া অবলম্বনে লেখা।
এর বাইরে শাহরিয়ার কবীর, মোহম্মদ জাফর ইকবাল এবং আরো অনেকেই লিখেছেন কিশোরদের জন্য। কিন্তু এরপর? এরপর আর নেই। আর তাছাড়া দেশের বিপুল পরিমাণ কিশোরদের জন্য এতো কম সংখ্যক কিশোর লেখক, যা সত্যিই অপ্রতুল। চাই আরো কিশোর লেখক- কিশোরদের মনোজগতকে সমৃদ্ধ করে তুলতে এবং তাদের পাঠ্যাভাস গড়ে তুলতে। এখনকান কিশোর-কিশোরীরা এতো বেশী মাত্রায় যান্ত্রিক হয়ে উঠছে, যে তাদের কল্পনার আকাশ হয়ে যাচ্ছে সাদাকালো।
তাই আসুন, যারা আপনারা চমৎকার লেখার ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন করেছেন, তারা লিখুন, কিশোরদের জন্য লিখুন। তাদের মনের ভেতর কল্পনার জগৎ তৈরী করুন। সততা, নৈতিকতা আর আপোসহীনতার আগুন জ্বেলে দিন। এটা হতে পারে গদ্য কিংবা পদ্যের মাধ্যমে। আপনি লিখতে পারেন গল্প কিংবা নিবন্ধ।
কিন্তু লেখার কৌশলই তাদের মনের ভেতর ঘটিয়ে দেবে আমূল পরিবর্তন।
আমরা ক'জন মিলে একটি পত্রিকা বার করছি কিশোরদের জন্য। নাম রেখেছি 'কিশোরবেলা'। আগে রেখেছিলাম কিশোর কাগজ। আমাদের উপদেষ্টা প্রখ্যাত সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, হায়াৎ মামুদ প্রমুখের কথায় 'কাগজ' শব্দটি ফেলে জুড়ে দেয়া হয়েছে 'বেলা'।
তাই এখন কিশোরবেলা। এটি খুব দ্রুত বেরোতে যাচ্ছে। লেখা সংগ্রহ শেষ করবো ৮ই ডিসেম্বর, ২০০৮। তাই জলদি আপনার সুন্দর লেখাটি পাঠিয়ে দিন নিচের ই-মেইল ঠিকানায়:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।