আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস :: রাষ্ট্র পাওয়ার মাস... কষ্ট পাওয়ার মাস - ১

এলেমেলো কথাবার্তা tutul@amrabondhu.com

জয় বাংলা, বাংলার জয় হবে হবে হবে হবে নিশ্চয় কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধরাতে নতুন সূর্য ওঠার এইতো সময় জয় বাংলার, বাংলার জয় হিরন্ময় দ্যুতিতে উজ্জীবিত করা গান... কবিতা... মায়ের আনন্দ বেদনায় মিশেল এক অনুভূতি... তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা... হৃদয়ে জাগে স্লোগানের সুর... ছড়িয়ে পরে ঘাঁটে-মাঠে-হাটে... মানুষের হৃদয় থেকে হৃদয়ে। রাজাকার বাহিনীই পারবে এই যুদ্ধ সামাল দিতে... হা.. হা... হা... ওরা জানে না এই যুদ্ধ দেশের ... এই যুদ্ধ মায়ের ... এই যুদ্ধ একটি জাতির বাঁচা মরার। ১ ডিসেম্বর। পেরিয়ে এলাম ৩৭টা বছর... ১৯৭১ সালের এমনি একটি ডিসেম্বরে... বীর বাঙালির কাছে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ.... স্বাধীনতার যুদ্ধ। দেশ মাকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পরে বাংলার সূর্য সন্তানেরা... রক্ত ... রক্ত... অনেক অনেক রক্ত... বিনিময়ে আমরা পাই আমাদের আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন.... হয়তো এটা আমার আনন্দের দিন... উৎসবের দিন... কিন্তু পারি না ... বুকের ভেতরটা মুচ্‌ড়ে ওঠে যখন দেখি আমার মায়েরা তার সন্তান হারানোর বেদনায় নীরবে মুখ লুকায়। আমার কষ্ট হয়... আমার বোনের ভেতরটা টগবগিয়ে ওঠে যখন সে দেখে এই স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভে ঘাতক দালালদের... তাদের আস্ফালন... পতাকা উড়িয়ে সাই সাই করে আমার সামনে দিয়ে চলে যাওয়া ... ২ ফিরে দেখা একাত্তর :: একজন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি ৩ শেষ করছি রক্তিমের একটি পোস্ট দিয়ে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টা বাজে। নাজমুল স্যার মাত্র চাচীকে বললো তাড়াতাড়ি খেয়ে লাইট অফ করতে। দিনকাল ভালো যাচ্ছেনা। যত সাবধানে থাকা যায় ততই ভালো।

কথাটা শেষ না হতেই ঘরের কড়া নাড়ানোর শব্দ হলো। সবার বুক কেঁপে গেলো। শিউলি আর চয়ন মার আচলের নিচে জড়সড় হয়ে কাপছে। নাজমুল স্যার চাচীকে শিউলি আর চয়নকে নিয়ে ভেতরের ঘরে যেতে বললেন। চাচী বার বার বারণ করলো ঘরের দরজা খোলার দরকার নেই, কিন্তু যেভাবে দরজা ধাক্কা দিচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে শেষে ভেঙে ফেলবে বলে দরজা খুলে দিলো।

খাকি পোসাক পরা ৭-৮জন ঢুকলো। তার মধ্যে একজনের মুখ বাঁধা। চাচী পর্দার আড়াল দিয়ে দেখলো খাকি পোসাকের মানুষগুলো এই ঘরে আসছে। নাজমুল স্যারকে এর মধ্যে হাত বেধে ফেলেছে । শিউলি আর চয়নকে টান মেরে এপাসে নিয়ে আসল।

দূনিয়াটা খুব ছোট হয়ে আসল। নাজমুল স্যারকে ধরে নিয়ে গেলো। চাচী পাগলপ্রায় হয়ে সারাদিন ঘরে বসে থাকেন। শিউলী আর চয়ন খেলা করে বেড়ায় বাড়ীর ছোট্ট উঠানটাতে। পাসের বাড়ীর ভাবীরা চাচীকে বাপের বাড়ী থেকে আসতে বললো কয়েকদিনের জন্য।

একদিন সকাল না হতেই রওয়ানা দিলো চাচী, শিউলী, চয়ন ও পাসের বাড়ীর কামালের বাবা। সারা রাস্তায় ডুকরে ডুকরে কানতে লাগল চাচী। কামালের বাবা শিউলী আর চয়নকে নিয়ে বসে আছে। পাসেই একটা নদী। অনেক শৈবাল জমেছে।

অনেক লোকের ভীড় দেখা যাচ্ছে। কি মনে করে কামালের বাবা ভ্যান দাড় করিয়ে ভীড় ঠেলে সামনে গেলো। ডান পা আর বাম হাত কাটা একটা লাশ। ফুলে উঠেছে সাথে দূর্গন্ধ সবার নাকে কাপড়। চাচী একবারেই চিনতে ভুল করলোনা ।

দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। কিছুদিন পরের কথা। শিউলীর মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে । কিছুদিন পর মারা যায়।

শিউলি ও চয়ন মামা বাড়িতেই মানুষ হতে থাকে। কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ব্লগার রক্তিম এবং ই-সংকলন ফিরে দেখা একাত্তর ব্লগারদের লেখা বিবরণগুলো বিজয় দিবস পর্যন্ত তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.