নিরব যোদ্ধা।
কুয়াকাটা শীতকাল ও গ্রীস্মকাল উভয় সময়ে ভ্রমণ করা যায় অর্থাৎ পুরো বছরই কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। তবে শীতকালীন সময়টাকে ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিলেও কুয়াকাটার আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে গ্রীস্মকালীন সময়টাকেই বেছে নিতে হবে।
এ সময় কুয়াকাটার রুদ্রমূর্তি থেকে শুরু করে টেউয়ের তালে তালে শোঁ শোঁ শব্দ যা আসলেই অপূর্ব। শীতকালীন সময় কুয়াকাটায় গিয়ে শুধুমাত্র সূর্যোদয় ও সূযাস্ত দেখা গেলেও সাগরের রুদ্রমূর্তি দেখা সম্ভব হবে না।
ওই সময় সাগর তার রাগ ভূলে কোমলমতি রূপ ধারন করে।
গ্রীস্মকালে প্রতিটি ঢেউ আছড়ে পড়ে সাগর পাড়ে। ঢেউয়ের সঙ্গে মুক্তার রং মেশানো ফেনা আসলেই উপভোগ করার মত। পড়ন্ত বিকেলে দেখবেন পূর্ব আকাশে সূর্যাস্তের নৈসর্গিক দৃশ্য। এক্ষেত্রে আকাশ মেঘলা থাকলে সূর্যাস্তের দেখা সম্ভব নাও হতে পারে।
এজন্য কুয়াকাটা গিয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করতে হলে ২/১ দিন সময় হাতে নিয়ে যাওয়াই ভাল। কুয়াকাটায় সবচেয়ে বেশি ভাল লাগবে রাতেরবেলা সাগর পাড়ে ইজি চেয়ারে বসে সাগরের রুদ্ররূপ প্রত্যক্ষের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের শোঁ শোঁ শব্দ শোনা। সাগরে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ইজি চেয়ার ও রোদ থেকে পরিত্রাণ পেতে বড় বড় ছাতা থেকে শুরু করে খেলাধূলার জন্য ফুটবল ও সাগরে সাঁতার কাটার জন্য রয়েছে বয়া। ওইসব জিনিসের সুবিধা ভোগ করতে হলে ঘন্টা হিসেবে ভাড়া দিতে হয়।
৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত বীচের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত চষে বেড়নোর জন্য সাগর পাড়ে রয়েছে ভাড়া মটর সাইকেল।
তবে এ ৩৬ কিলোমিটার বীচ একসঙ্গে উপভোগ করা যাবে না। এর মধ্যে সাগরের পশ্চিমে খাজুরিয়া রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পূর্বে গঙ্গামতির খাল পর্যন্ত রয়েছে ১৬ কিলোমিটার বীচ।
গঙ্গমতির ছোট একটি খাল কুয়াকাটার বীচটিকে দুটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। খালটি পার হলেই বাকি ২০ কিলোমিটার বীচ। ওই বীচে যেতে হলে খালটি পাড়ি দিয়ে অথবা সড়কপথে ঘুরেও তা ভ্রমণ করতে পারেন।
২০ কিলোমিটার বীচ ভ্রমণের সময় সাগরের দিকে চেয়ে থাকলে দেখতে পাবেন ছোট ছোট দ্বীপ। ওই দ্বীপের মধ্যে ১০/১৫ পরিবার বাস করে। তাদের প্রধান পেশা হচ্ছে মাছ ধরা। শীতের মৌসুমে ট্রলারযোগে ওই স'ানে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
বীচে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে মোটর সাইকেল। মোটর সাইকেলে চড়ে বীচের সৌন্দর্য উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে দেখে আসতে পারেন নারিকেল বাগান, এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা তালগাছের বাগান, শুটকি পাড়া, ঝাউবন ও ইকোপার্ক। সাগার পাড় ঘেঁষে বিশাল একটি এলাকা নিয়ে বন বিভাগের উদ্যেগে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাউবন। ঝাউবন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ইকোপার্ক। ইকোপার্কের মধ্যে রয়েছে ফুলের বাগান।
ভবিষ্যৎ এ সেখানে পর্যায়ক্রমে স'াপন করা হবে স্পিডবোড, সূযোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য উঁচু টাওয়ার এবং ইকোপার্কের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ব্রীজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।