আল বিদা
বিমানবন্দরের সামনের লালনের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হল কিছুদিন আগে। আমি ভীতু টাইপের মানুষ। আমি ভাবলাম লালনের ভাস্কর্য না থাকলে কি বিমানবন্দরের প্লেন উড়বে না। এই ভাস্কর্য না থাকলে তো আর কোন সমস্যা নাই। এতকাল যে ছিল না তাতে কি কোন সমস্যা হয়েছে? তবে এভাবে ভেঙে না ফেলে অন্য কোনভাবে ভাঙতে পারত!
গতকাল বলাকা ভাস্কর্যর উপর আঘাত আসল।
মতিঝিলের এই জায়গায় আমি খুব নিয়মিত যাই। আমার কাছে মনে হত এই ভাস্কর্য রাস্তা কিছুটা কমিয়ে ফেলেছে। তাই এই বলাকা না থেকে যদি রাস্তা বাড়ে তাতে ক্ষতি কি? এতে রাস্তার যানজট কমবে। আমাদের ভাস্কর্য থাকার চেয়ে রাস্তা বড় হওয়া জরুরী। তবে এভাবে ভেঙে না ফেলে মেয়রকেও ভাঙতে বলতে পারত!
উপরের এই দুই ঘটনায় আমার প্রতিক্রিয়া এমনই।
তবে আমি ভাস্কর্যের বিপ না। আমারও ভাস্কর্য ভাল লাগে। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার একটা বাড়ী হবে। বাড়ির সামনে একটা উঠোন থাকবে। বাড়ির সিড়িতে আমরা ভাইবোনরা বসে গল্প করব।
আর বাড়ীতে ঢোকার গেট বড় করে করব। সিংহ দুয়ার যাকে বলে। গেটের দুইদিকে দুইটা ভাস্কর্য থাকবে। আমার ইচ্ছা দুইটা সিংহ থাকবে। তবে এতে সমস্যা আছে।
লোকে বাড়ীর অন্য কোন খেতাবী নাম দিয়ে দিবে। অন্য কোন সুন্দর ভাস্কর্য করব। যেন তেন মুর্তি না। সুন্দর একটি ভাস্কর্য। যেন যে দেখবে তারই মন জুড়িয়ে যায়।
মন ভাল হয়ে যায়।
আচ্ছা তখন আমার এই ভাস্কর্য কেউ ভেঙে ফেলবে না তো? এখন যারা দেশের গর্বের এই ভাস্কর্য ভাঙছে তাদের তো আমার বাড়ীর ভাস্কর্য ভাঙতে কোন সমস্যাই হবে না। হায় হায় দেশের এ কি অবস্থা!
এ তো আর হতে দেয়া যায় না...............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।